বুধবারও অব্যাহত যাত্রীভোগান্তি। এদিনও বাতিল করা হয়েছে একের পর এক উড়ান। বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ১০০-র বেশি উড়ান বাতিল করার খবর মিলেছে। ন’দিনে পড়ল বিমান বিপর্যয়। এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পরিষেবা। ইন্ডিগো বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যেও। বিমান বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে অন্য ব্যবসায়। দিল্লির ব্যবসা সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ন’দিনে প্রায় সাড়ে চার হাজারের বেশি ইন্ডিগো উড়ান বাতিল হয়েছে। বুধবার অহমদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অনেকগুলি উড়ান বাতিল করছে ইন্ডিগো। বিপর্যয়ের রেশ সব থেকে বেশি পড়েছে দিল্লির ব্যবসায়ী মহলে। চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিটিআই) অনুমান, হাজার হাজার উড়ান বাতিলের ফলে রাজধানীর বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটনশিল্পে গত কয়েক দিনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে!
সিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ গয়াল জানান, বিমান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন শিল্প। দিল্লির বাজারেও তার প্রভাব পড়েছে। গত ১০ দিনে দিল্লির বাজারে মানুষের আনাগোনা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। রাজধানীতে বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন। বিভিন্ন জিনিস কেনেন। বিমান বিপর্যয়ের কারণে অনেক পর্যটকই আসতে পারেননি। দিল্লি থেকেই সবচেয়ে বেশি বিমান বাতিল হয়েছে। ফলে দিল্লিতে এর প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ব্রিজেশের আরও বলেন, ‘দিল্লি বিমানবন্দর থেকে প্রতি দিন দেড় লক্ষের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার ব্যবসায়ী থাকেন। ব্যবসায়িক পর্যটকদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে বিপর্যয়ে দিল্লি বিমানবন্দের যাত্রী সংখ্যা মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেয়েছে। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে দিল্লির পাইকারি এবং খুচরো বাজারে। দিল্লির হোটেল, রেস্তরাঁ ব্যবসাতেও ইন্ডিগো বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে। অনেকেই বুকিং বাতিল করছেন। বিপর্যয়ের ফলে বড়দিন এবং নববর্ষের বুকিংয়েও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।‘
ইন্ডিগোর বিমান বিপর্যয়ে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্র। চার সদস্যের কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইন্ডিগোকে শোকজ নোটিসও পাঠানো হয়েছে। ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে ডিজিসিএ ১০ শতাংশ পরিষেবা কমিয়ে দিয়েছে।