আইএমএফ-এর রিপোর্ট বলছে, আগামী দিনগুলিতে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধি হবে ৬.৬ শতাংশ হারে। এই বৃদ্ধি হবে ২০২৫-এই। আমেরিকার শুল্কযুদ্ধ কিংবা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে চাপানউতোরের মধ্যে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির বৃদ্ধি ধাক্কা খেলেও ভারতের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে আইএমএফ।
অন্যদিকে এইচএসবিসি মিউচুয়াল ফান্ডের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি আগামী মাসগুলিতে গতি ফিরে পাবে। এর কারণ হল কম সুদের হার, বাজারে পর্যাপ্ত নগদ, অপরিশোধিত তেলের দাম হ্রাস ও স্বাভাবিক বর্ষা । এই সমস্ত কারণগুলি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে।
অন্যদিকে একই ইঙ্গিত দিয়েছে গোল্ডম্যান শ্যাক্স, যেটি বিশ্বের পরিচিত ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্ক। গোল্ডম্যান শ্যাক্স বিশ্বাস করে, ভারতের অর্থনৈতিক ও কর্পোরেট পরিস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে। পাশাপাশি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর জিএসটি হার হ্রাস, খরচ বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে ২০২৬-এ আবার অর্থনীতির বৃদ্ধির হার কমে ৬.২ শতাংশ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইএমএফ। বিভিন্ন দেশের অর্থনীতির উপর শুল্কের প্রভাব বিশ্লেষণ করেই এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষে ভারতের অর্থনীতি ৬.৫ শতাংশ হারে বেড়েছে। আমেরিকার শুল্ক নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেও সরকার জিডিপি-র পূর্বাভাস ৬.৩ থেকে ৬.৮ শতাংশের মধ্যে রেখেছে।
চলতি বছরে ভারতের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার চিনের থেকে বেশি হবে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। চিনের অর্থনীতির বৃদ্ধির হার হতে পারে ৪.৮ শতাংশ হারে। অন্যদিকে আইএমএফ-এর তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালে ৩.২ শতাংশ হারে বিশ্ব অর্থনীতি বৃদ্ধি পেতে পারে। ২০২৬-এ এটি কমে ৩.১-এ নেমে আসার আশঙ্কাও করছে বাণিজ্যিক মহল।