ভারতীয় নৌসেনার শক্তিবৃদ্ধিতে বড় পদক্ষেপ হিসেবে যুক্ত হল আমেরিকা থেকে আনা অত্যাধুনিক এমএইচ-৬০ রোমিয়ো চপার। নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল দীনেশ কে ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই নৌসেনার নতুন ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী হেলিকপ্টার স্কোয়াড্রন গঠনের কাজ সম্পূর্ণ হবে। সেই লক্ষ্যেই রোমিয়ো চপারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘ওই স্কোয়াড্রনের সদর দপ্তর হবে গোয়ায়।’
নৌসেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শত্রুপক্ষের ডুবোজাহাজ ধ্বংসের পাশাপাশি সমুদ্রে তল্লাশি ও উদ্ধারকার্যেও অসাধারণ দক্ষতার পরিচয় দেয় রোমিয়ো। জমি, বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ, ক্রুজার বা ডেস্ট্রয়ার— যে কোনও রণতরী থেকে এ চপার ওঠানামা করতে পারে। আরব সাগরে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এবং ভারত মহাসাগরে চিনা রণতরীর নজরদারি মোকাবিলায় এই চপার অত্যন্ত কার্যকরী হবে বলে মনে করছে নৌসেনা।
২০২০ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আমেরিকার যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার নির্মাতা লকহিড মার্টিন সংস্থাকে বরাত দেয় রোমিয়ো চপার কেনার জন্য। প্রায় ২৪০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি হিসেবে প্রায় সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকা) ব্যয়ে ২৪টি রোমিয়ো চপার কেনার পাশাপাশি নৌসেনার ব্যবহারের জন্য বিশেষ ন্যাভাল স্ট্রাইক ক্ষেপণাস্ত্র (এনএসএম), নজরদারি সরঞ্জাম এবং অন্যান্য অস্ত্রসজ্জা অন্তর্ভুক্ত ছিল বরাতে।
সরকারি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১৫টি রোমিয়ো ভারতে এসে পৌঁছেছে এবং সেগুলি নিয়ে নৌসেনার পাইলটদের প্রশিক্ষণপর্ব চলছে।