সন্ত্রাস ও ড্রাগের বিরুদ্ধে লড়বে ভারত: মােদি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

রাষ্ট্রসঙেঘর সাধারণ সভার ৭৫ তম বার্ষিক অধিবেশনে বিশ্বব্যাপী শান্তিস্থাপনে উদ্যোগী হওয়ার পাশাপাশি আবহাওয়া পরিবর্তন, সন্ত্রাসবাদ দমন সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামােদর দাস মােদি । 

এদিন মােদি বলেন, সন্ত্রাসবাদকে কখনােই সমর্থন করে না ভারত। অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা কিংবা ড্রাগ পাচার অথবা অর্থ তছরূপের ঘটনাগুলােকে সমর্থন করে না ভারত। আগামি বছরই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হতে চলেছে ভারত। এদিন এই প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই গুরুদায়িত্ব অবশ্যই পালন করা হবে।’

পাশাপাশি শান্তি এবং সুরক্ষার পক্ষে সওয়াল করবে ভারত। যে সমস্ত কিছু মনুষ্যত্বের বিরুদ্ধে তার প্রত্যেকটি বিষয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলবে ভারত। এর পাশাপাশি করােনা ভ্যাকসিন সহ মহিলাদের উন্নয়নে ভারতের পদক্ষেপ এবং বিশ্ব শান্তি স্থাপত্রে ভারতের অবদানের কথাও প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে তুলে ধরেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাষ্ট্রসংঘের সংস্কারের পক্ষেও সওয়াল করেন প্রধানমন্ত্রী। 


এদিন প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, যখন রাষ্ট্রসংঘ গঠিত হয়েছিল তখন পরিস্থিতি আলাদা ছিল, এখন পরিস্থিতি অনেক পাল্টে গেছে। একবিংশ শতাব্দীর প্রজন্মের চাহিদা ও প্রয়ােজনীয়তা আলাদা রাখুন। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পরিবর্তন আবশ্যক। 

রাষ্ট্রসংঘে ভারতের ভূমিকা তুলে ধরতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি বলেন, বিভিন্ন শান্তি মিশনে ভারত নিজের দেশের বীর জওয়ানদের পাঠিয়েছে। সেখানে বহু বীর জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছে ভারত। তারপরেও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতকে দূরে রাখা হচ্ছে বলেও এদিন আক্ষেপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্রসংঘের কর্মকর্তাদের কাছে মােদির প্রশ্ন, আর কতদিন ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে এরজন্য? রাষ্ট্রসংঘে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীর ভূমিকা থেকে কতদিন দূরে রাখা হবে? গােটা বিশ্বের আঠারাে শতাংশ মানুষ এই গণতান্ত্রিক দেশে বসবাস করে। তারা রাষ্ট্রসংঘের উপর বিশ্বাস রেখে চলে। তারাও রাষ্ট্রসংঘের সদর্থক পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। 

এদিন ভ্যাকসিন নিয়ে গােটা বিশ্ব আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন তৈরিতে অনেকটাই এগিয়েছে ভারত। গােটা বিশ্বে সেই ভ্যাকসিন সরবরাহ করার ক্ষমতা আছে ভারতের। এর পাশাপাশি করােনা রুখতে রাষ্ট্রসংঘ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সে নিয়েও প্রশ্ন তােলেন তিনি। 

মােদি বলেন, সময়ের সঙ্গে চ্যালেঞ্জও বদলাচ্ছে। তাই আমাদেরকেও বদলাতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের আত্মসমীক্ষার সময় এসে গিয়েছে। গােটা বিশ্ব যখন করােনার বিরুদ্ধে লড়ছে তখন রাষ্ট্রসংঘই বা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? করােনার এই কঠিন সময়ে ১৫০ টি দেশকে ওষুধ সরবরাহ করেছে। ভারতের ভ্যাকসিন এখন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। ভ্যাকসিন তৈরি হলে গােটা বিশ্বকে তা দিতে অসুবিধা হবে না, এর জন্য প্রয়ােজনীয় কোল্ডস্টোরেজ সহ অনান্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।