ভারত ফেরত পাঠাবে ১৬ হাজার বিদেশিকে, মাদক চক্রে যুক্তরা প্রধান লক্ষ্য

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার প্রায় ১৬ হাজার বিদেশি নাগরিককে দেশ ছাড়া করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এইসব বিদেশি মাদক পদার্থ পাচার, পরিবহন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে যুক্ত থাকায় তাদের ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এরা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের জেল বা ডিটেনশন ক্যাম্পে বন্দি রয়েছে।

সম্প্রতি নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) রিপোর্টের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, অভিযুক্তরা সংগঠিত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভারতের মাটিকে ড্রাগ ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছিল। তাদের মধ্যে বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ঘানা ও নাইজেরিয়ার নাগরিক রয়েছে।

নতুন ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অ্যাক্ট, ২০২৫’-এর আওতায় এই বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে তালিকা হস্তান্তর করেছে। আইন অনুযায়ী, সন্ত্রাস, গুপ্তচরবৃত্তি, ধর্ষণ, হত্যা, শিশু পাচার, নিষিদ্ধ সংগঠন, মাদক পাচার, সাইবার অপরাধ এবং জাল নথি ব্যবহারের মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত বিদেশি নাগরিকদের ভারতে প্রবেশ বা অবস্থান অনুমোদিত হবে না।


এছাড়া, প্রত্যেক বিদেশি ভিসা বা ওসিআই রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদনের সময় বায়োমেট্রিক তথ্য জমা দিতে হবে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অবৈধভাবে ঢোকা বিদেশিদের শনাক্ত করে বায়োমেট্রিক ও অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করতে এবং দ্রুত ফেরত পাঠাতে।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পদক্ষেপ দেশের মাদকমুক্ত ভারতের লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে এবং জাতীয় নিরাপত্তায় বিরাট অবদান রাখবে। এছাড়া, প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ডিটেনশন ক্যাম্প গড়ে তোলা হবে, যেখানে এই ধরনের বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর আগে পর্যন্ত রাখা হবে।