বাংলাদেশের বিমান দুর্ঘটনায় সবরকম সাহায্যে প্রস্তুত ভারত

ফাইল চিত্র

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় সোমবার দুপুরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১। আহতের সংখ্যা ১৭০। এই দু্র্ঘটনার পর বাংলাদেশের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবারই এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন। এরপরই ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ভারতের হাই কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য যদি কোনও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বা চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়, ভারত তার ব্যবস্থা করতে প্রস্তুত। সেক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসক দলকে সেখানে পাঠানো হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিকিৎসার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছে ভারত।

ভরতের তরফে আরও জানানো হয়েছে, এই বিপর্যয়ে যে কোনও ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দ্রুত ও নিঃশর্তভাবে পৌঁছে দেবে ভারত। ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে সব রকম সহযোগিতা ও প্রশাসনিক সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ঢাকার বিমান দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ উপদেষ্টা সাইদুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, ‘মৃতের সংখ্যা এখন ৩১। এদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১২ বছরের কম। এখনও পর্যন্ত শনাক্ত করা গিয়েছে ২০টি মৃতদেহ।মৃতদের মধ্যে বাকি ২ জন হলেন বিমানটির পাইলট এবং ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা। তাঁদের পরিবারের কাছে দেহগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে।’ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুড়ে জাতীয় শোক ঘোষণা করা হয়। অর্ধনমিত রাখা হয় জাতীয় পতাকা। এদিন দেশ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।


এক্স হ্যান্ডেলে শোকপ্রকাশ করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘ঢাকায় এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন কিংবা আহত হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শিক্ষার্থী। তাঁদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।