ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভারতে আসছে ‘ডেঙ্গু-অল’ ভ্যাকসিন

প্রতীকী ছবি।

বিদেশী নয়, একদম দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ডেঙ্গুর ভ্যাকসিন পেতে চলেছে ভারতীয়রা। প্যানাসিয়া বায়োটেক এবং ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ এই দুই সংস্থার গবেষণার মিলিত ফল হল এই ভ্যাকসিন যার দেশীয় নাম ‘ডেঙ্গু–অল’। আইসিএমআর-এর প্রাক্তন মহানির্দেশক বলরাম ভার্গব কলকাতায় এসে এই বার্তাই দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর আগে এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে প্রতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ। এর মধ্যে মৃত্যুর হার একশোর বেশি।

বর্তমানে ডেঙ্গু অল ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। টেট্রাভ্যালেন্ট এই ভ্যাকসিনটি ডেঙ্গুর চারটি স্ট্রেন থেকে মানবদেহকে সুরক্ষা করবে। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের ফলাফল সন্তুষ্টিজনক। আর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ১৮টি রাজ্যের মোট ১০ হাজার ৩৩৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক অংশগ্রহণ করেছে। বাজারে একবার এই ভ্যাকসিন চলে এলে ডেঙ্গু ভাইরাসের দাপট কিছুটা কমবে। তবে ঠিক কোন সময় এটি বাজারে উপলব্ধ হবে তা জানা যায়নি। আইসিএমআর এর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে এটি বাজারে চলে আসতে পারে।

প্রতি বছর বর্ষাকাল থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, রাজস্থান, কেরালা, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ে। জুলাই মাসের পর থেকে ডেঙ্গু সংক্রমণ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এই ভ্যাকসিন এলে সংক্রমণের হার কিছুটা কমবে। মঙ্গলবার সায়েন্স সিটিতে আয়োজিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্লোবাল ভ্রাম্যমান প্রদর্শনী ‘ভ্যাকসিনস, ইঞ্জেক্টিং হোপ’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বলরাম ভার্গব উপস্থিত ছিলেন।


জানা গিয়েছে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রদর্শনীটি চলবে। ব্রিটেনের ওয়েলকাম গ্রুপ এবং আইসিএমআর-এর যৌথ সহায়তায় এটি চলছে। এর মূল উদ্দেশ্য হল টিকা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতার বিকাশ ঘটানো। ‘ডেঙ্গু–অল’ ভ্যাকসিনটির বাজার মূল্য কত হবে সেটি এখনও নির্ধারিত হয়নি। তবে সাধারণদের কথা মাথায় রেখে এর মূল্য ধার্য করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।