শীতকালীন অধিবেশনের তৃতীয় দিনের কাজ শুরু হওয়ার আগেই তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। বুধবার সকাল থেকেই সংসদ ভবনের সামনে নতুন শ্রমবিধি কার্যকর করার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। সংসদের ভেতরে আইন প্রণয়ন ও আলোচনার ব্যস্ত সূচি থাকলেও বাইরে রাজনৈতিক মোকাবিলা সমান তালে চলবে—এমনই ইঙ্গিত মিলেছে বিরোধী শিবিরের তরফে।
কেন্দ্র জানিয়েছে, সপ্তাহের মধ্যেই নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু তার আগেই শ্রমবিধি ইস্যুকে সামনে রেখে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেস সাংসদ মানিকম তাগোর জানিয়েছেন, লোকসভায় শ্রমবিধি নিয়ে আলোচনা চাইতে তিনি স্থগিতাদেশ নোটিস দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘আজ থেকে সংসদের কাজ সকালেই শুরু হবে। আর আমরা সংসদের বাইরে শ্রমবিধির বিরুদ্ধে আন্দোলন করব। একই সঙ্গে ভেতরেও বিষয়টি জোর দিয়ে তুলব।’
মঙ্গলবার লোকসভায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) ইস্যুতে একাধিকবার স্থগিত হওয়ায় কার্যত ভেস্তে গিয়েছিল পুরো দিনের অধিবেশন। বিভিন্ন দলের নেতারা আশা করছেন, বুধবার থেকে অন্তত স্বাভাবিকভাবে সংসদের কাজ চলবে। তবে শ্রমবিধি নিয়ে বিরোধীদের প্রতিবাদ যে রাজনৈতিক চাপ বাড়াবে, তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন জোটের নেতারা।
নতুন শ্রমবিধি কার্যকর হওয়ায় বিরোধী শিবির দাবি করছে, শ্রমিকের নিরাপত্তা, সামাজিক সুরক্ষা এবং কাজের পরিবেশ ‘ঝুঁকির মুখে’ পড়বে। তাদের অভিযোগ, কেন্দ্র শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে পর্যাপ্ত আলোচনাই করেনি। তাই সেশন শুরুর ঠিক আগে সংসদ ভবনের সামনেই বিরোধীরা বৃহত্তর জনমতের বার্তা তুলে ধরতে চাইছে।
আইন প্রণয়ন ও বিতর্কে ভরা দিনের আগে এই প্রতিবাদে রাজনৈতিক উত্তাপ উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়বে বলে মনে করছে সংসদীয় মহল।