নিরাপত্তা পরিষদ নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ক্ষোভ ভারতের

রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তর (Photo: iStock)

রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকা নিয়ে বড়সড় বয়ান পেশ করা হল ভারতের তরফে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদের কর্তৃত্ব এবং কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল ভারত। রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি টি এস তিরুমূর্তি বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ অকেজো অঙ্গে পরিণত হয়েছে। আচরণগত নিষ্ক্রিয়তার কারণে বিশ্বাসযােগ্য পদক্ষেপ করতেও ব্যর্থ হয়েছে।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৫ তম অধিবেশনে তিরুমূর্তি অভিযােগ করেন, আন্তঃরাষ্ট্র সরকারি স্তরের বৈঠক (আইজিএন)-গুলি প্রায়শই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক প্রতিযােগিতায় পরিণত হয়। সেখানে কার্যকরী পদক্ষেপের দিশানিদের্শ খোঁজার চেয়েও বেশি গুরুত্ব পায় পারস্পরিক চাপানউতাের।

তিরুমূর্তির কথায়, গত এক দশক ধরে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের বিষয়টি বার বার আইজিএন-এর আলােচনায় এলেও তার কোনও অগ্রগতি হয়নি। এমনকি, সেই সব বৈঠকে আলােচ্য বিষয় গুলির রেকর্ড-ও ঠিক ভাবে সংরক্ষিত হয়নি বলে তাঁর অভিযােগ। তাঁর কথায়, সাধারণ পরিষদ নির্ধারিত বিধিগুলি আইজিএন যাতে অনুসরণ করে, তা নিশ্চিত করা প্রয়ােজন। 


প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভিডিয়াে বক্তৃতায় নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ পাওয়ার দাবি তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। তিনিও প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘আর কত দিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে? আর কত দিন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার বাইরে থাকবে ভারত? শুধু ভারত নয়, ব্রাজিল এবং জাপানের মতাে দেশও নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সদস্য কাঠামাে সংস্কারের দাবি তুলেছে। 

প্রসঙ্গক্রমে, গত জুন মাসে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হিসেবে ভারত পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। বিদেশমন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একাধিকবার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন ভারতের প্রতিনিধি। কিন্তু তাতে কোনও ফলই মেলেনি। পাশাপাশি, মূলত চিনের বাধায় বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ (জনসংখ্যার নিরিখে) ভারতের স্থায়ী সদস্যপদের দাবি নিয়েও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ হয়নি।