অমর জওয়ান জ্যোতি সরানোর পর সমর্থন পেয়েছি, দাবি মোদির

৩০ জানুয়ারি মহাত্মা গান্ধির প্রয়াণ দিবসে বছরের প্রথম মন কি বাতে শুরুতেই গান্ধিজিকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

বললেন, ‘আজ ৩০ জানুয়ারি, বাপুর প্রয়াণ দিবস । দিনটা বাপুর শিক্ষাকে মনে করায়।’ এইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, অমর জওয়ান জ্যোতির সরানোর সিদ্ধান্তকে … অনেকেই সমর্থন করেছেন।

রাজধানি দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে গত পাঁচ দশক ধরে জ্বলছিল অমর জওয়ান জ্যোতির অনির্বাণ শিখা। সেই শিখাকে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে নিকটস্থ ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ বা জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’- এ। যার পর বিতর্ক শুরু হয়। এদিনের মন কি বাতে সেই প্রসঙ্গ টানেন মোদি।


বলেন, ‘ইন্ডিয়া গেটের কাছে অবস্থিত অমর জওয়ান জ্যোতি ও ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের চিরশিখা মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আবেগঘন মুহূর্তে বহু শহিদ পরিবার ও দেশবাসীর চোখেই জল এসে গিয়েছিল।’

প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, ‘বেশ কিছু প্রবীণ ব্যক্তি আমায় চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে অমর জওয়ান জ্যোতি সরানোর শহিদদের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান জানানো হয়েছে।

দেশবাসীকে ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ দেখতে আসার আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

বিশেষ করে ছোটোদের ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ ঘুরে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। রবিবার দেশবাসীকে আজাদির অমৃত মহোৎসবের শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী।

মনে করিয়ে দেন, এবার থেকে ২৩ জানুয়ারি নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিনে শুরু … হবে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান, শেষ হবে ৩০ জানুয়ারি গান্ধিজির মৃত্যুদিনে-যেমনটা এবার হল। এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবেই পুরস্কার ও পদ্ম সম্মান- ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশ-বিদেশের ১ কোটিরও বেশি শিশু তাদের মন কি বাত প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন পোস্টকার্ড লিখে। ছোটোদের চিঠিতে দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে খুশি হয়েছেন তিনি।