‘বড় হয়ে সেনায় যেতে চাই। বাবার মৃত্যুর বদলা নেব। বেছে বেছে শত্রুদের মারব।’ পাক গোলায় নিহত বায়ুসেনার চিকিৎসকের মৃত্যুতে হুঙ্কার তাঁর কন্যার।
শনিবার পাকিস্তানের ছোড়া গোলায় নিহত হয়েছেন বায়ুসেনার চিকিৎসক সুরেন্দ্র মোগা। রবিবার তাঁর দেহ রাজস্থানের ঝুনঝুনুর বাড়িতে পৌঁছেছে। বাবার কফিনবন্দি দেহ আঁকড়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে বছর এগারোর কন্যা বর্তিকা। সংবাদমাধ্যমকে বর্তিকা বলে, ‘শুক্রবার রাত ৯টাতেও বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল। বাবা বলেছিল, এখানে ড্রোন হামলা হচ্ছে। তবে আমরা সুরক্ষিত আছি। চিন্তা করার কিছু নেই।’
শনিবার সকালে উধমপুরে সুরেন্দ্র মোগার মৃত্যু হয়। স্বামীর মৃত্যুসংবাদ পাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন সুরেন্দ্রর স্ত্রী সীমা। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, ১৪ বছর ধরে বায়ুসেনায় চিকিৎসাকর্মী হিসাবে কাজ করছেন সুরেন্দ্র কুমার। উধমপুরে বায়ুসেনার ৩৯ উইং-এর সদস্য ছিলেন তিনি। রাজস্থানের ঝুনঝনুর বাসিন্দা সুরেন্দ্রর স্ত্রী এবং দুই সন্তান রয়েছে। তাদের এক জনের বয়স আট, অন্য জনের পাঁচ। সুরেন্দ্রর তিন দিদি এবং এক ভাইও রয়েছে। সুরেন্দ্রর বাবা শিশুপাল কুমার সিআরপিএফে ছিলেন।
সেনার তরফে সুরেন্দ্র মোগার শ্যালক জয়প্রকাশকে চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আশপাশের এলাকাতেও যথেষ্ঠ জনপ্রিয় ছিলেন সুরেন্দ্র। তাঁর কাকা সুভাষ মোগা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকেই সেনায় যোগ দেওয়ায় আগ্রহী ছিলেন সুরেন্দ্র। বাড়িতে এলেই এলাকার তরুণ, যুবকদের সেনায় যোগদানে উৎসাহ দিতেন। অত্যন্ত প্রাণোচ্ছল এবং পরোপকারী ছিলেন তাঁর ভাইপো।
পরিবার সূত্রে খবর, এপ্রিল মাসের ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছিলেন সুরেন্দ্র। পরিবারের সঙ্গে কিছু দিন সময় কাটিয়ে ১৫ এপ্রিল আবার কাজে যোগ দেন। সম্প্রতি নতুন একটি বাড়িও বানান সুরেন্দ্র। কাজে যোগ দেওয়ার দু’দিন আগে গৃহপ্রবেশও হয়। কিন্তু তার একমাসের মধ্যেই ঘটে গেল বড়সড় অঘটন।