‘অ্যাটম বোমা ফাটাব, ভোট চুরি করছে কমিশন’, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর। শুক্রবার সংসদ চত্বরে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, কংগ্রেসের কাছে এই ভোট চুরির প্রমাণ আছে। যদিও নির্বাচন কমিশন রাহুলের দাবি অস্বীকার করেছে। কমিশন জানিয়েছে, রাহুলের ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিষয়টি কর্মীদের কানে না তুলতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
সূত্রের খবর, বিহারে নির্বাচন কমিশনের খসড়া ভোটার তালিকা থেকে প্রায় ৬০ লক্ষের কাছাকাছি নাম বাদ গিয়েছে। এ বিষয়ে কারও আপত্তি বা সংযোজনের বিষয় থাকলে তা একমাসের মধ্যে সেরে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা সংশোধনী নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও বেশ কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে বিহারের ভোটার তালিকা হলেও একযোগে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ওরফে বিজেপির বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত একমাস ধরে বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের পর শুক্রবারই তার প্রথম দফার খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে শুক্রবারও সংসদ চত্বরে সরব হয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও রাজ্যসভার সাংসদ সোনিয়া গান্ধি এবং বিরোধী দলের অন্য সাংসদরা সেখানে বিক্ষোভ দেখান। সেই বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় রাহুল গান্ধী সংসদ চত্বরে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন, ‘ভোট যে চুরি হচ্ছে, আমাদের কাছে তার যথেষ্ট প্রমাণ আছে ৷ নির্বাচন কমিশন ভোট চুরির কাজে জড়িত ৷’
তাঁর অভিযোগ, গত বছর মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। সেই তদন্তে উঠে আসা তথ্যের উপর ভিত্তি করে শতাব্দী প্রাচীন দলটি দাবি করে, কংগ্রেস নিশ্চিত যে কমিশন বিজেপির জন্য ভোট চুরি করছে ৷
শুক্রবার সংসদ চত্বরে রাহুল গান্ধি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা জানি, মহারাষ্ট্রে রাজ্যস্তরে ভোট চুরি হয়েছে ৷ ভোটার তালিকা সংশোধন হয়েছে এবং এক কোটি ভোটারের নাম তালিকায় যুক্ত হয়েছে ৷ নির্বাচন কমিশন আমাদের সাহায্য না-করায় আমরা নিজেরাই বিস্তারিত খোঁজখবর শুরু করি ৷ আমরা আমাদের মতো তদন্ত করেছি ৷ ছ’মাস ধরে তদন্তের পর আমরা হাতে যা পেয়েছি, তা অ্যাটম বম্ব ৷ এই বোমা ফাটলে দেশে নির্বাচন কমিশনকে আর দেখা যাবে না ৷’
যদিও এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য, ‘প্রতিদিনই এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগগুলি উঠছে ৷ এই বিষয়গুলিকে নির্বাচন কমিশন গুরুত্ব দেয় না ৷ রোজ এই রকম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ৷ আমরা সব নির্বাচনী আধিকারিকদেরই বলব, আপনারা পক্ষপাতহীন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছেন ৷ এধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যে কান দেবেন না৷’