৬ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার ছিল বিহারের প্রথম দফার ভোট। শুক্রবার অওরাঙ্গাবাদে সমাবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে এনডিএ আবার ক্ষমতায় ফিরবে বলে আত্মবিশ্বাসী নরেন্দ্র মোদী। আরজেডি আমলের ‘জঙ্গলরাজ’ আর ‘কট্টারাজ’ আর ফিরবে না বিহারে, দাবি মোদীর। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ, ৩৭০ ধারা বাতিল এবং অপারেশন সিন্দুরের উদাহরণ তুলে ধরে মোদী বলেন, ‘আমি যা প্রতিশ্রুতি দিই তা করি।’ এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বিহারে ভোটপ্রচারে গিয়ে সীতামঢ়ীতে ‘জানকী মন্দির’ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সাড়ে তিন বছর আগে ‘অগ্নিপথ’ প্রকল্প ঘিরে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল বিহার। ভারতীয় সেনায় চুক্তিভিত্তিক অগ্নিবীর নিয়োগ ঘিরে হিংসাত্মক বিক্ষোভ ছড়ায় বিহারের জেলায় জেলায়। এ বার দ্বিতীয় দফার বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিহারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবসরপ্রাপ্ত সেনানীদের সহায়তায় তাঁর ‘সাফল্যের’ কথা তুলে ধরলেন। এ ক্ষেত্রে তাঁর হাতিয়ার, ‘এক পদ এক পেনশন’ প্রকল্প। ২০১৫ সালে স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লার বক্তৃতায় সেনাবাহিনীর ‘এক পদ এক পেনশন’ প্রকল্প কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছিলেন মোদী।
অওরাঙ্গাবাদের ওই সভা থেকে সুকৌশলে বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধনের অন্দরের মতবিরোধের প্রসঙ্গ তোলেন মোদী। বিরোধী দলগুলির ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’য়ের প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। লালুপ্রসাদ-তেজস্বী যাদবদের খোঁচা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘কংগ্রেসকে এমন সব আসন আরজেডি ছেড়েছে, যেখানে গত ৩৫-৪০ বছরে ওরা জেতেনি।’ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বের ‘মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে’ তেজস্বী যাদবকে ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী’ ঘোষণা করতে আরজেডি বাধ্য করেছে বলেও তোপ দাগেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রথম দফায় বিহারে ১২১টি আসনে প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে যা রেকর্ড। মোদী এবং নীতীশের প্রতি বিহারবাসীর আস্থার বহিঃপ্রকাশ এই ফল। যদিও পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে মুখ খোলেননি প্রধানমন্ত্রী।