দেনার দায়ে নিলাম বাড়ি,  কর্নাটক বিধানসভার সামনে আত্মহত্যার চেষ্টা গোটা পরিবারের

বেঙ্গালুরু, ১০ জানুয়ারি – দেনায় ডুবে ছিলেন গোটা পরিবার। ব্যাঙ্কের ঋণ মেটানো তো দূরের কথা, ক্রমশই বেড়েছে সুদের হার। বারবার মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও বারবার আশাহত হতে হয়েছে। দেনা শোধ করতে না পারায় নিলামে তুলে দেওয়া হয় বাড়িও। শেষ ভরসা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত কর্নাটক বিধানসভার সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন একই পরিবারের ৮ সদস্য। এঁদের মধ্যে ছিলেন মহিলা ও শিশুরাও। যদিও পুলিশ সজাগ থাকায় অগ্নিসংযোগের আগেই তাঁদের প্রত্যেককে নিবৃত্ত করা সম্ভব হয়।  আপাতত আটক করা হয়েছে পরিবারের সকল সদস্যকে।

পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আদার চাষ শুরু করেছিলেন, কিন্তু কোন লাভ হয়নি।  ফলে দেনা মেটানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে তাঁদের পক্ষে। এই পরিস্থিতিতে বারবার কর্নাটকের মন্ত্রী জামির আহমেদ খানের সঙ্গে দেখা করে সাহায্যের আর্জি জানান দেনাগ্রস্ত ওই পরিবার। কিন্তু তাতে কোন ফল হয়নি। শেষ পর্যন্ত ওই পরিবারের বাসভবন নিলামে তুলে ঋণ শোধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে বিচার চাইতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই মতো বুধবার পৌঁছে যান কর্নাটক বিধানসভায়। পরিবারের এক মহিলা সদস্য জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইতে এসেছি। আপাতত আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। বাচ্চাদের খাবার কিনে দেওয়ার মতো আর্থিক সামর্থ্যও নেই। মন্ত্রী জামি আহমেদ খান আমাদের আশ্বাস দিলেও কোনও ফল হয়নি।”


এই কথা বলার পরেই কর্নাটকের বিধান সৌধের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন পরিবারের সদস্যরা। আট সদস্যের মধ্যে ছিলেন মহিলা ও শিশুরাও।  সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের সকলকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।