মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরে খুন হয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক নীরজ পাঠক। তদন্তে উঠে আসে, স্বামীকে খুন করেছেন স্ত্রী মমতা পাঠকই। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, মমতা প্রথমে স্বামীকে ঘুমের ওষুধ দিয়েছিলেন। তার পর তড়িদাহত করে স্বামীকে খুন করেন। এরপরে তিনি ছেলেকে নিয়ে ঝাঁসিতে চলে যান। নিম্ন আদালত মমতাকে দোষী সাব্যস্ত করলে তিনি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বুধবার তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে উচ্চ আদালতও। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দেখে বুধবার নিম্ন আদালতের রায় এবং সাজাই বহাল রেখেছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট।
মমতা পাঠক পেশায় মধ্যপ্রদেশের ছত্তরপুরে রসায়নের অধ্যাপিকা। নিম্ন আদালত মমতাকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যান মমতা পাঠক। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলাকালীন, মমতা রসায়নের যে ব্যখ্যা দেন তাতে তাজ্জব হয়ে যায় আদালত।