আরজেডি-কংগ্রেসকে তোপ দেগে বিহার ভোট থেকে সরে দাঁড়াল হেমন্তের দল জেএমএম

ছবি: আই এ এন এস

বিহারের বিধানসভা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএম। কংগ্রেস এবং আরজেডি-এর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ তুলেছে জেএমএম। সেই কারণে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা। এর যোগ্য জবাব দেওয়া হবে বলে তোপ দেগেছে হেমন্ত সোরেনের দল।

জেএমএম নেতা সুদিব্য কুমার বলেন, ‘আগের বার বিহার বিধানসভা নির্বাচনে আরজেডি এবং কংগ্রেস জেএমএমকে তিনটি আসন দেবে বলে নিশ্চিত করেছিল। পরে সেই কথা রাখা হয়নি। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছিল। গত বছর, ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস, আরজেডি এবং বামেদের জন্য একটি বড় সংখ্যক আসন ছেড়েছিল জেএমএম। এবছর ফের বিহার ভোটে জেএমএমকে অপমানিত করা হল। আমরা এর কড়া এবং যোগ্য জবাব দেব।‘

শনিবারই জেএমএম একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইন্ডিয়া জোট থেকে সরে এসে বিহারে ছয়টি আসনে লড়াই করা কথা জানিয়েছিল। একটি দলীয় সভায় জেএমএমের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, বিহার নির্বাচনে একাই লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। ছয়টি আসন লড়বে দল। চাকাই, ধামানদাহ, কাটোরিয়া (এসটি), মণিহারি (এসটি), জামুই এবং পিরপাইনটি (এসসি) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দলীয় প্রার্থীরা।


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই আসনগুলিতে ভোট হবে দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বর। সভায় নেতা-কর্মীদের সামনে সুপ্রিয় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, দাবি অনুযায়ী জেএমএমকে জোট আসন দেইনি বলেই ‘একলা চলো’ নীতি। বারোটি আসনে টিকিট চেয়েছিল জেএমএম।

একদিকে যখন শাসক শিবির বিজেপি এবং জেডিইউ প্রথম প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে।  বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-য় আসনরফা নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। মূলত কংগ্রেস এবং আরজেডির মধ্যে আসন নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আলাদা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অন্যতম জোটসঙ্গী জেএমএম। এবার ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই আচমকা বিহার নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল হেমন্তের দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা।