শাহিন বাগ শুনানি ভোটের আগে নয়

শাহিন বাগে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান। (Photo by Sajjad HUSSAIN / AFP)

শাহিন বাগ এলাকায় সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরােধিতায় সােচ্চার কয়েকশাে ধৃত প্রতিবাদকারীদের মুক্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতে যে আবেদন করা হয়েছে আগামি সােমবার আবেদনটির শুনানি করা হবে বলে নির্দেশ জারি করা হয়। শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, আবেদনগুলির শুনানি সােমবার পর্যন্ত মুলতুবি রাখা হল।

দিল্লি বিজেপি’র প্রাক্তন বিধায়ক ও পেশায় আইনজীবী ধৃত প্রতিবাদকারীদের মুক্তি চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন। তার আবেদনের শুনানি করার কথা থাকলেও পিছিয়ে দেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে বলা হয়, আগামিকাল দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন হবে- দেশের শীর্ষ আদালত কোনওভাবে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায় না।

আবেদনকারী শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সােমবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে দেওয়ার অর্থ বিধানসভা নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুনানি করা হবে না’।


শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে পাল্টা জবাব দিয়ে বলেন, ‘ঝুলি থেকে বেড়াল বেড়িয়ে পড়েছে, সে কারণে আমরা শুনানি মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। তাই সােমবার আসতে বলেছি। কেন আমরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করব? আমরা সমস্যাটা বুঝতে পারছি, তাই কিভাবে সমাধান করা যায় সেটা দেখতে হবে। সােমবার শুনানি করা হবে’।

পাশাপাশি, কেন বিষয়টি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আবেদন করার পরে বদলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে– তার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আবেদনকারীদের সােমবার প্রস্তুত হয়ে আসতে বলা হয়েছে। বিজেপি নেতা নন্দ কিশাের চলতি সপ্তাহের গােড়ায় শাহিন বাগের ঘটনার উল্লেখ করে। রাস্তায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের জন্য নির্দেশিকা ব্যাখ্যা করার আবেদন করেন।

সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরােধিতায় একমাস ধরে শাহিন বাগে প্রতিবাদ চলছে। দক্ষিণ দিল্লি থেকে নয়ডা যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বন্ধ থাকার কারণে নিত্যযাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দিল্লি শহরের ৭০টি আসনে ৮ ফেব্রুয়ারি ভােট গ্রহণ করা হবে- ফলপ্রকাশ হবে দু’দিন পর।