কর্ণাটকে সঙ্কটে কুমারস্বামীর সরকার

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী। (File Photo: IANS)

কর্নাটকের জোট সরকারের মাথার ওপর সিঁদুরে মেঘ। জেডি (এস) কংগ্রেসের জোটের আয়ু যেকোনও দিন শেষ হয়ে যেতে পারে। সরকারের মেয়াদ নিয়ে কপালে ভাজ পড়েছে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামীর।

সূত্রের খবর, জেডি (এস) এবং কংগ্রেস থেকে ১৩ জন বিধায়কের ইস্তফা দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু শনিবার দুপুরে পদত্যাগ করলেন ৮ জন বিধায়ক। ৫ জন কংগ্রেস থেকে এবং বাকি ৩ জন জেডি (এস) থেকে। আরও ৫ কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ পত্র জমা দিতে পৌঁছে যান অধ্যক্ষের সচিবালয়ে। কিন্তু অধ্যক্ষ না থাকায় তাঁদের ফিরতে হয়।

আমেরিকায় রয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী। সােমবার তিনি রাজ্যে ফিরছেন। শনিবার দুপুরেই কর্নাটক বিধান সৌধে গিয়ে ৫ জন কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফাপত্র তুলে দেন অধ্যক্ষের সচিবের হাতে।


কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস তরফে জানা গেছে, ইস্তফাপত্র তুলে দেওয়ার জন্য তারা বিধান সৌধ থেকে পদযাত্রা করে পৌঁছন রাজভবনে। রাজ্যপাল রাজুভাই আর বালার সঙ্গে দেখা করে কুমারস্বামী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলেছে বলে অভিযােগ জানানাের পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।

কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের দল বেঁধে পদত্যাগের জন্য রীতিমতাে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। বিক্ষুব্ধ সদস্যদের বােঝাতে কনকপুরা থেকে বেঙ্গালুরু ছুটে গেছেন কর্নাটকের জলসম্পদমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার।

কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীনেশ গুন্ডুরাও বিদেশে থাকায় তাই কার্যকরী সভাপতি ঈশ্বর খান্দ্রে বেঙ্গালুরুতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা রামলিঙ্গ রেড্ডির বাড়িতে যান। যে কংগ্রেস বিধায়করা ইস্তফা দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে রামলিঙ্গ অন্যতম। ২ জুলাই জোট সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন ২ কংগ্রেস বিধায়ক।