২০২৬-কে স্বাগত জানাল বিশ্ব, প্রথম সূর্যোদয়ের সাক্ষী কিরিবাতি

নতুন বছরের প্রথম প্রহরে গোটা বিশ্ব জুড়ে আনন্দ, আতশবাজি আর শুভেচ্ছার ঢেউ। প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝখানে অবস্থিত ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতি সময় অঞ্চলের কারণে সবার আগে ২০২৬ সালে পা রাখল। তার পর পরই নতুন বছরকে স্বাগত জানায় নিউজিল্যান্ড, সামোয়া, টোঙ্গা এবং নিউজিল্যান্ডের অধীন অঞ্চল টোকেলাউ। মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা বারো ছুঁতেই অকল্যান্ডের আকাশে রঙিন আতশবাজির ঝলকানিতে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে জনতা।

নিউজিল্যান্ডে নতুন বছরকে বরণ করতে অকল্যান্ড শহরের নানা প্রান্তে জড়ো হন মানুষ। আকাশজুড়ে আলো-রঙের খেলায় নতুন শুরুর বার্তা ছড়িয়ে পড়ে। একই সঙ্গে দক্ষিণ গোলার্ধের আরও দেশ অস্ট্রেলিয়ায় সিডনি হারবার ব্রিজের উপর ঐতিহ্যবাহী আতশবাজির প্রদর্শনী নতুন বছরকে ঘিরে বাড়তি আকর্ষণ তৈরি করে।

এশিয়ার দিকেও নতুন বছর এসেছে নিজস্ব সংস্কৃতির আবহে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ধর্মীয় ও ঐতিহ্যবাহী ঘণ্টাধ্বনির মাধ্যমে ২০২৬-কে স্বাগত জানানো হয়। মন্দিরে মন্দিরে প্রার্থনা, আত্মসমালোচনা ও নতুন সংকল্পের মধ্য দিয়েই শুরু হয় নতুন বছরের যাত্রা।


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বর্ষবরণের মুহূর্তে রাজ্যবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘সবাই হাসিখুশি থাকুন, আনন্দে থাকুন— নতুন বছর সকলের জীবনে আনন্দ বয়ে আনুক।’ তাঁর বার্তায় আশাবাদ ও ইতিবাচকতার সুরই স্পষ্ট।

ভারতেও নতুন বছরকে ঘিরে নানা আয়োজন। ওড়িশার পুরীর সমুদ্রসৈকতে বর্ষবরণের সন্ধ্যায় বিখ্যাত বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক নতুন বছরের থিমে বালুশিল্প নির্মাণ করেন। পর্যটকদের ভিড়ে সেই শিল্পকর্ম নতুন বছরের শুভেচ্ছার বার্তা ছড়িয়ে দেয়।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু নতুন বছরের প্রাক্কালে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘নতুন বছর নতুন শক্তি ও ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতীক। আত্মসমালোচনা ও নতুন সংকল্পের এটাই উপযুক্ত সময়।’ তাঁর আহ্বান, জাতীয় উন্নয়ন, সামাজিক সম্প্রীতি ও পরিবেশ রক্ষার অঙ্গীকার আরও দৃঢ় করা হোক। রাষ্ট্রপতির মতে, ২০২৬ যেন সকলের জীবনে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসে এবং শক্তিশালী ভারতের নির্মাণে নতুন উদ্দীপনা জোগায়।

বিশ্বজুড়ে নানা সংস্কৃতি, ধর্ম ও ঐতিহ্যের মধ্য দিয়ে ২০২৬-কে বরণ করে নেওয়ার এই চিত্র যেন নতুন সূচনার প্রতীক হয়ে রইল।