ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হলেন জ্ঞানেশ কুমার। তিনি রাজীব কুমারের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ১৯ জানুয়ারি তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। এর আগে জ্ঞানেশ কুমার কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন। সোমবার সিলেকশন কমিটি জ্ঞানেশ কুমার বেছে নেয়। কমিটিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ ও বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এর তাঁর নামে সিলমোহর দেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
২০২৯ সালের ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে থাকবেন জ্ঞানেশ কুমার। এই সময়ের মধ্যে বিহার, কেরল, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা ভোট হবে। অবশ্য, তাঁর প্রথম পরীক্ষা হবে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে। ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন প্রাক্তন এই আমলা। ২০২৭ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে। সেই ভোটও পরিচালনা করবেন জ্ঞানেশ।
উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা জ্ঞানেশ আইআইটি কানপুর থেকে বিটেক করেন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। তারপর অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। বিসনেস ফিন্যান্স নিয়ে পড়ার পর হার্ভার্ডে যান তিনি। জ্ঞানেশ কুমার ১৯৮৮ সালের ব্যাচের কেরল ক্যাডার হিসেবে আইএএস অফিসার হন। সমন্বয় মন্ত্রকের প্রাক্তন সচিব জ্ঞানেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি তিনি অবসর নেন।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল তাঁর। ৩৭০ ধারার অবলুপ্তির সময় অমিত শাহর নেতৃত্বাধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাশ্মীর ডিভিশনের যুগ্ম সচিব ছিলেন। প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রকর্তা জ্ঞানেশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত।
অতীতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বাছাই কমিটিতে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ছাড়া তৃতীয় সদস্য হিসাবে থাকতেন দেশের প্রধান বিচারপতি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেই নিয়মে বদলে প্রধান বিচারপতির পরিবর্তে তৃতীয় ব্যক্তি হিসাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলার শুনানি ২২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে। সোমবারের বৈঠকে নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানান রাহুল গান্ধী। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, বর্তমানে বাছাই কমিটির তিন সদস্যের মধ্যে দু’জন সরকারের মন্ত্রী হওয়ায় সিদ্ধান্ত সর্বদা একতরফা হবে।