বিহারে ভোটে একাধিক নয়া নিয়ম চালুর কথা জানালেন জ্ঞানেশ কুমার

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বিহারে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ নভেম্বর। তার আগেই হবে বিহারে ভোট। এদিন পাটনায় সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। খুব শীঘ্রই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। সেই সঙ্গে ভোটগ্রহণে বেশ কিছু পরিবর্তনের কথাও এদিন ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।

এসআইআর এবং ভোটার তালিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম বিহারের রাজ্য-রাজনীতি। এসআইআর  প্রক্রিয়ার পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তার পরেই নির্বাচন কমিশনার সুখবীর সিং সিন্ধু এবং বিবেক যোশীর সঙ্গে বিহার সফরে এসেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। আসন্ন বিহার ভোটে বেশ কিছু বদলের কথা জানানো হয়।

এই প্রথম বিহারের নির্বাচনে ইভিএম ব্যালট অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে থাকবে প্রার্থীর রঙিন ছবি। সঙ্গে প্রার্থীর নাম বড় বড় হরফে ছাপা থাকবে। বর্তমানে সাদা-কালো ব্যালট পেপারে দলের প্রতীক চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা গেলেও প্রার্থীর চেহারা বুঝতে সমস্যা হয়। ছোট হরফে ক্রম সংখ্যা লেখা থাকায় পড়তে অসুবিধা হয় প্রবীণদের। সেই সব সমস্যার কথা মাথায় রেখে এই বদল আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। বিহার নির্বাচনেই ভোটাররা প্রথম এই নয়া ধরনের ইভিএম-এ ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।


জ্ঞানেশ কুমার বলেন, ‘ইভিএম-এ যখন ব্যালট পেপার ঢোকানো হয়, তখন এর ছবি সাদা-কালো থাকে। ফলে নির্বাচনী প্রতীক থাকলেও তা শনাক্ত করা কঠিন হয়। সিরিয়াল নম্বরটি আরও বড় করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছিল। তাই, বিহার নির্বাচন থেকে শুরু করে, সারা দেশে সিরিয়াল নম্বরের ফন্টটি আরও বড় হবে এবং প্রার্থীদেরও রঙিন ছবি থাকবে।’

পোলিং স্টেশন ম্যানেজমেন্টেও পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে কোনও ভোটকেন্দ্রে ১,২০০ জনের বেশি ভোটার থাকবে না।’

তিনি আরও জানিয়েছেন, এ বারও ভোটকেন্দ্রে ১০০ শতাংশ কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সময় বুথ-স্তরের কর্মকর্তাদের আরও ভালোভাবে শনাক্ত করার জন্য পরিচয়পত্র চালু করা হয়েছে। বুথের বাইরের একটি ঘরে মোবাইল ফোন জমা রাখা যেতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি গোটা বিহার জুড়ে চালু করা হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১০০ শতাংশ ওয়েবকাস্টিং হবে।’