শুধু সাধারণ মানুষ নন, একের পর এক বিএলও-র মৃত্যুতে কাঠগড়ায় মৃত্যু এসআইআরের চাপ। দেশের নানান প্রান্ত থেকে এসআইআরের কাজের চাপ নিতে না পেরে আত্মহত্যা এবং মৃত্যুর খবর আসছে প্রতিনিয়ত। শক্রবার ফের সেই মৃত্যুর খবর। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, বিহারের পরে এবার গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্য গুজরাতে দুই বিএলও-র মৃত্যুর খবর পাওয়া গেল। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের দুই বিএলও-র মৃত্যুতেও সেই একই অভিযোগ পরিবারের। এসআইআর নিয়ে কাজের চাপের অভিযোগ তুলেছে।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মধ্যপ্রদেশের রাইসেন এবং দামোহ জেলায়। রমাকান্ত পাণ্ডে এবং সীতারাম গন্ড নামে দুই বিএলও-র মৃত্যুতে উঠেছে সেই একই প্রশ্ন। সূত্রের খবর, মৃত রমাকান্ত সুলতানপুর এলাকায় একটি স্কুলের শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি, মন্দিদীপ এলাকায় বিএলও হিসাবেও তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার রাতে আচমকা তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর মধ্যরাতে তাঁর মৃত্যু হয়। সীতারামও পেশায় ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি রানজ্রা গ্রামের বিএলও হিসাবেও তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।
অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এনুমারেশন ফর্ম ভরার সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। শুক্রবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। দু’ক্ষেত্রেই পরিবারের অভিযোগ, এসআইআর-এর কাজের চাপে বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ চিন্তিত ছিলেন তাঁরা। তার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, এর আগে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকজন বিএলও কাজের চাপ সামাল দিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। অসুস্থ হয়েও মারা গিয়েছেন কয়েকজন। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনকে তাই চিঠি লিখে অবিলম্বে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। যদিও সেই চিঠির পর কোনও পরিবর্তন হয়নি নির্বাচন কমিশনের কার্যবিধিতে। তৃণমূল ছাড়াও সিপিএম এবং কংগ্রেস সহ অন্যান্য দলও এসআইআর নিয়ে আপত্তি তুলেছে।