প্রাক্তন সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে হানা, উদ্ধার বিপুল সম্পত্তি

ভোপালে অবসরপ্রাপ্ত এক মুখ্য ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে লোকায়ুক্তর তল্লাশি অভিযানে চাঞ্চল্য ছড়াল। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হওয়া এই তদন্তে যে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তা দেখে হতবাক তদন্তকারী আধিকারিকদের। শুধু নগদ অর্থ ও সোনা-রুপোই নয়, উদ্ধার হয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি, বাংলো, বিশাল খামারবাড়ি এবং ১৭ টন মধু।

লোকায়ুক্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত জিপি মেহরা মধ্যপ্রদেশ পূর্ত দপ্তরের প্রাক্তন মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মেহরার ভোপাল ও নর্মদাপুরমের চারটি ঠিকানায় তল্লাশি চালান হয়। অভিযানের শুরুতেই মিলেছে নগদ প্রায় ৯ লক্ষ টাকা ও প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না। এছাড়াও ৫৬ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের নথিপত্র মিলেছে।

তবে সবচেয়ে বড় চমক ছিল মেহরার বিলাসবহুল খামারবাড়ি থেকে পাওয়া সম্পদে। নর্মদাপুরমে অবস্থিত সেই খামারবাড়ি অত্যন্ত বিলাসবহুল। ৩২টি কটেজ, বিশাল পুকুর, ব্যক্তিগত মন্দির, দামি গাড়ি ও ট্র্যাক্টর, সব মিলিয়ে রাজপ্রাসাদের মতো। খামারবাড়ির অন্দরমহলে ঢুকে তদন্তকারীরা উদ্ধার করেন বিপুল সোনা ও রুপো, যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকা।


তদন্তকারীদের সবচেয়ে বেশি বিস্মিত করেছে ১৭ টন মধুর বিষয়টি। এত বিপুল পরিমাণ মধু কেন মজুত করে রাখা হয়েছিল, তা নিয়েই এখন জল্পনা তুঙ্গে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে লোকায়ুক্ত। এক আধিকারিকের কথায়, ‘এটি বরফের চূড়া মাত্র। এখনও অনেক কিছু উদ্ধার হওয়া বাকি। তদন্ত চলছে।’ এই ঘটনায় গোটা ভোপালজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মেহরার এই বিপুল সম্পদের উৎস খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা।