হিংসা এড়াতেই তড়িঘড়ি করা হয় হাথরাসের তরুণীর শেষকৃত্য, সুপ্রিম কোর্টে জানালাে উত্তরপ্রদেশ সরকার 

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ (File Photo by Prakash SINGH / AFP)

সকালে শেষকৃত্য করলে বড়সড় হিংসার সম্ভাবনা ছিল। গােয়েন্দা সূত্রে এক লাখেরও বেশি মানুষের জমায়েত হওয়ার খবর মিলেছিল। সেই জন্যই তড়িঘড়ি মধ্যরাতে হাথরাসের তরুণীর দেহ সৎকার করা হয়েছিল। প্রবল চাপের মুখে সুপ্রিম কোর্টে একথা জানালাে উত্তরপ্রদেশ সরকার।

একটি জনস্বার্থ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সকালে হলফনামা পেশ করে যােগী। আদিত্যনাথের সরকারের তরফে দাবি করা হয়, আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না হয়, সেজন্য রাতেই শেষকৃত্য করা হয়েছে। হলফনামায় বলা হয়, সকালে বড় মাত্রায় হিংসার ঘটনা এড়াতেই যাবতীয় ধর্মীয় রীতি মেনে শেষকৃত্যের ব্যাপারে আত্মীয়স্বজনদের বােঝানাের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন।

মৃত্যু ও ময়নাতদন্তের পর ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় দেহ পড়েছিল। তবে যাবতীয় রীতিনীতি মেনেই নাকি শেষকৃত্য করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন উত্তরপ্রদেশের প্রশাসনিক কর্তারা। তবে তরুণীর পরিবার থেকে আগেই জানানাে হয়েছিল, তাদের আপত্তি সত্ত্বেও জোর করে মধ্যরাতে শেষকৃত্য করা হয়েছিল।


তারই মধ্যে ষড়যন্ত্রের তাস খেলে যােগী আদিত্যনাথের সরকারের তরফে দাবি করা হয়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের বাইরে যেভাবে ধরনা চলছিল। তা নিয়ে গােয়েন্দা সূত্রে বিভিন্ন খবর পাচ্ছিল জেলা প্রশাসন। 

হলফনামায় অভিযােগ করা হয়েছে , পুরাে বিষয়টির রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। সে জন্য রাজনৈতিক দল, সংবাদমাধ্যমকেও দুষেছে যােগী প্রশাসন। তাদের বক্তব্য- মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সােশ্যাল মিডিয়ায় ভয়ানক অপপ্রচার চালানাে হচ্ছে। স্বচ্ছ তদন্তকে ভেস্তে দিতে উদ্দেশ্যপ্রণােদিতভাবেই সেটা করা হচ্ছে। 

পাশাপাশি হাথরাসের ঘটনায় সুপ্রিমকোর্টের নজরদারিতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানাের। সুপারিশ করেছেন যােগী। হলফনামায় বলা হয়েছে, বিষয়টি যেহেতু দেশের নজরে আছে, তাই কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমেই সেটির তদন্ত করা উচিত। তবে শুধু হাসরথের ঘটনা নয়, উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কলুষিত করতে যে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারও সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানাে হয়েছে।