চ্যুইংগাম সবারই পছন্দের জিনিস। নরম তুলোর মতো মিষ্টি স্বাদের জিনিসটি মুখে দিয়ে চিবোতে চিবোতে সিন্থেটিক আঠার মতো হয়ে যায়। সেই অংশটি ফুলিয়ে বেলুনের মতো বানাতে সব শিশুই খুব মজা পায়। কিন্তু এই মজাদার জিনিসটি অনেকসময় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। গলায় আটকে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়।
সম্প্রতি সেরকমই একটা ঘটনা ঘটল কেরলে। চ্যুইংগাম মুখে দিয়ে বিপদে পড়েছিল আট বছরের মেয়েটি। আঠালো অংশটি গলায় আটকে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। সেসময় আচমকা দেবদূতের মতো প্রাণ বাঁচালেন চার যুবক। সেই ঘটনাটি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। শিশুর উপস্থিত বুদ্ধি এবং যুবকদের তৎপরতাকে প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা।
আচমকা এই বিপদ থেকে বাঁচার জন্য শিশুটির উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কারণ সে ওই মুহূর্তে যুবকদের সাহায্য না নিলে প্রাণ সংশয় হয়ে যেত। বিপদের সময় নিজের জীবনকে বাঁচানোর মতো এই উপস্থিত বুদ্ধি সবার থাকে না। কুর্নিশ জানিয়েছেন, ওই যুবকদের দ্রুত পদক্ষেপ ও সাহসিকতাকেও।
মঙ্গলবার এই ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কান্নুরে। ভাইরাল হওয়া সেই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, মেয়েটি একটি সাইকেলে চড়ে যাচ্ছিল। সে সময় সে একটি চ্যুইংগাম মুখে নেয়। কিন্তু পরমুহূর্তেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে। আচমকা এই বিপদ থেকে বাঁচতে সাইকেল চালিয়ে একটি সব্জির দোকানে যায়। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন যুবক সব্জি কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পেরেই দ্রুত মেয়েটিকে কোলে তুলে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার চেষ্টা করেন।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ওই যুবক শিশুটিকে কোলে নিয়ে তার পিঠে চাপ দিয়ে চ্যুইংগামটি বের করার চেষ্টা করছেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করছেন অন্য আরও একজন যুবক। এভাবে কিছুক্ষণের চেষ্টায় বেরিয়ে আসতেই শিশুটি স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে শুরু করে। এই ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই ওই যুবকদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেট পাড়ার নাগরিকরা। এমনকি ওই যুবকদের প্রশংসা করেছেন কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুট্টিও। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘কান্নুরের পল্লীকরার এই যুবকরা চুইংগামে আটকে যাওয়া একটি শিশুর প্রাণ বাঁচিয়েছে। তোমাদের ধন্যবাদ।’