বিহারে বিয়ের ছলে প্রতারণা, ধৃত চার ‘ভুয়ো কনে’ সহ ৯

প্রতীকী চিত্র।

বিয়ের ছদ্মবেশে দীর্ঘদিন ধরে চলা এক বৃহৎ প্রতারণা চক্রের হদিশ পেল বিহার পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ, একটি দল সুচতুরভাবে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি লুট করত। এই ঘটনায় চার ‘ভুয়ো কনে’ সহ মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে রয়েছেন চক্রের মূল পান্ডা আহমেদ আলিও।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেতিয়া এবং বাগাহা এলাকায় এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় ছিল। নিজেদের কার্যকলাপ চালাতে একটি অফিস পর্যন্ত খুলে ফেলেছিল তাঁরা। প্রথমে সোশাল মিডিয়া বা স্থানীয় পরিচিতদের মাধ্যমে বিত্তবান অবিবাহিত পুরুষদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতানো হত। এরপর গড়ে উঠত প্রেমের সম্পর্ক এবং সেখান থেকে দ্রুতই পৌঁছে যাওয়া হত বিয়ের মঞ্চে।

বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরপরই পাল্টে যেত ছবিটা, নববধূ সেজে আসা প্রতারক মহিলা সুযোগ বুঝে টাকা, গয়না এবং মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে চম্পট দিত। বেশ কয়েকটি লুটের ঘটনা সামনে আসতেই তদন্তে নামে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পশ্চিম চম্পারণ জেলার বেতিয়া এলাকা থেকে চার জন মহিলা ও পাঁচ জন পুরুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয়েছে একটি এসইউভি, দু’টি বাইক ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন।


মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রকাশ সিংহ জানিয়েছেন, এই গ্যাং শুধু বিহারে নয়, রাজ্যের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় একই কৌশলে প্রতারণা চালাত। চক্রের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে এবং তদন্তের পর আরও তথ্য প্রকাশ্যে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য সদস্যদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।