দিল্লির কারখানায় আগুনে ঝাপিয়ে ১১ জনকে বাঁচালেন দমকলকর্মী

দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন দেখা করেন দমকলকর্মী রাজেশ শুক্লার সঙ্গে। (Photo: Twitter/@SatyendarJain)

দিল্লির আনাজ মাণ্ডির ঘিঞ্জি এলাকায় বহুতলের কারখানায় হঠাৎই আগুন লাগে। ঘুমের মধ্যেই দগ্ধ হয়ে চিরঘুমে চলে যায় ৪৩ টা প্রাণ। জখম হন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ, হতাহতের সংখ্যা যে আরও বাড়েনি তার জন্য নিঃসন্দেহে সাধুবাদ প্রাপ্য দমকলের।

ললিহান আগুনের শিখা উপেক্ষা করেই তাতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন কয়েকজন কর্মী। সােজা ঢুকে পড়েছিলেন দাউদাউ করে জ্বলতে থাকার কারখানার ভিতরে। তেমনই এক দমকলকর্মীর দুর্দম সাহস ও প্রচেষ্টায় প্রাণ বেঁচেছে ১১ জনের পরিবারগুলির কাছে সেই ব্যক্তি এখন সাক্ষাৎ ভগবান।

দিল্লির দমকলকর্মী রাজেশ শুক্লা মানবিকতা ও কর্তব্যবােধকে সর্বাগ্রে রেখে রবিবার বাঁচিয়েছেন ১১টি প্রাণ। উদ্ধারকাজে নিজেও দগ্ধ হয়েছেন। পায়ে আঘাত লেগে তিনি বর্তমানে দিল্লি এলএনজেপি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘দমকলকর্মী রাজেশ শুক্লা প্রকৃত হিরাে। আগুনের স্থলে প্রথম দমকলকর্মী হিসাবে তিনি প্রবেশ করেন। তিনি ১১টা প্রাণ বাঁচিয়েছেন। হাড়ে আঘাত লাগা সত্ত্বেও তিনি কাজ চালিয়ে গেছেন। সাহসী এই নায়ককে কুর্নিশ’৷


রবিবার ভাের পাঁচটা নাগাদ আগুন লাগে দিল্লির আনাজ মাণ্ডি রানি ঝাঁসি রােডের একটি বহুতলে। এই বহুতলটির মধ্যে চামড়ার কারখানা, প্যাকিং বাক্সের কারখানা ও প্লাস্টিকের কারখানা ছিল বলে জানা গিয়েছে। ভােরবেলায় আগুন লাগায় শ্রমিকরা কেউ সেভাবে টের পাননি। বহুতলে আটকে পড়েন বহু শ্রমিক। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২৭ টি ইঞ্জিন। প্রায় দেড়শাে দমকলকর্মী উদ্ধার করেন ৬৩ জনকে।