ফরিদাবাদে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় শাহিন শাহিদ নামে লখনউয়ের এক মহিলা চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জইশ-ই-মহম্মদের মহিলা ব্রিগেড তৈরির দায়িত্বে ছিল সে-ই। পহেলগামে হামলার বদলা নিতে অপারেশন সিঁদুর চালিয়েছিল ভারত। সেই সময় জইশ শিবিরে ব্যাপক ভাঙন ধরিয়েছিল ভারতীয় সেনারা।
অপারেশন সিঁদুরে মৃত্যু হয় মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১১ জন সদস্যের। এর ঠিক পরই ভারতের বিরুদ্ধে বদলা নিতে মাসুদ আজাহারের বোন সাদিয়ার নেতৃত্বে নয়া মহিলা ব্রিগেড তৈরির ঘোষণা করে জইশ। ভাওয়ালপুরের মার্কাজ-উসমান-ও-আলি থেকেই এই সংগঠনের যাত্রা শুরু করে জইশ। নতুন এই মহিলা ব্রিগেডের নাম জামাত-উল-মোমিনাত।
জানা গিয়েছে, শাহিন শাহিদকেই দেওয়া হয়েছিল সেই শাখার দায়িত্ব। প্রসঙ্গত, সাদিয়ার স্বামী ইউসুফ আজদার ছিল কান্দাহার বিমান অপহরণের মূল হোতা। অপারেশন সিঁদুরে মৃত্যু হয় তাঁর। অনুমান করা হচ্ছে, আপাতত জম্মু ও কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যগুলিতে এই পাক মহিলা ব্রিগেড নিজেদের সংগঠনের কাজ করতে শুরু করেছে। তবে তাঁদের কার্যক্রম সেভাবে শুরুর আগেই এই মহিলা জঙ্গিদের উপড়ে ফেলতে চাইছে দিল্লি।
সূত্রে খবর, লখনউয়ের লালবাগের বাসিন্দা ছিল শাহিন। তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি অ্যাসল্ট রাইফেল। আল-ফালা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করতেন ওই মহিলা চিকিৎসক। এর আগে ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছেন মুজাম্মিল গনি ওরফে মুসাইব নামে সন্দেহভাজন এক জঙ্গি।
তিনি যে বাড়িতে ভাড়া থাকেন সেখানকার দু’টি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক। উল্লেখ্য, সোমবার লালকেল্লার কাছে হাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। এটি সন্ত্রাসবিরোধী আইন। দিল্লির কোতোয়ালি থানা ইউএপিএ-এর ১৬, ১৮ ধারা, বিস্ফোরক আইন এবং বিএনএসের একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।