‘ভারত বনধে’ দিল্লিতে হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে কৃষকের মৃত্যু

তিন কৃষি আইন বাতিলের প্রতিবাদে সােমবার দেশজুড়ে বন্ধ ডাকে কৃষক সংগঠনগুলি। দেশের একাধিক জায়গায় তার প্রভাবও পড়েছে। এদিকে, এর মধ্যেই সিঙঘু বর্ডারে আন্দোলনকারী ৫৪ বছর বয়সি এক কৃষক হৃদরােগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই ভারত বনধের কথা ঘােষণা করেছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

সেই মতাে এদিন সকাল থেকেই দিল্লি-সহ একাধিক জায়গায় পথ অবরােধ করেন কৃষক সংগঠনের কর্মীরা। তবে তাঁদের সঙ্গে যােগ দিয়েছেন, বিরােধী দলের কর্মীরাও। হরিয়ানা-পাঞ্জাবের একাধিক পথও অবরােধ করেন তারা। কিন্তু কৃষক নেতা রাশে টিকায়েত দাবি করেন, তারা কোনও রাস্তাই বন্ধ করেননি। অ্যাম্বুল্যান্স, চিকিৎসক ও জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সকলকেই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।

রাকেশ টিকায়েতের কথায়, আমরা কিছুই বন্ধ করিনি। আমরা কেবল একটি বার্তা দিতে চেয়েছি। দোকানদারদের উদ্দেশে তার আহ্বান দোকান বন্ধ রাখুন। বিকেল চারটে পর্যন্ত দোকান খুলনে না।


এদিকে, কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মােদি সরকারকে তােপ দাগেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে রাহুলের টুইট, কৃষকদের অহিংস সত্যাগ্রহ আজও অটুট কিন্তু শােষক সরকার এটা পছন্দ করে না। সেজন্যই ভারত বন্‌ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। টুইটে সমর্থন জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও।

পাঞ্জাবে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোং সিং সিধু দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়েছেন, বন্ধকে সমর্থন করুন। টুইট তিনি বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস দৃঢ়ভাবে কৃষক ইউনিয়নগুলির কাজ ভারত বন্‌ধের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে। যখন ন্যায় ও অন্যায়ের মধ্যে লড়াই হয়, তখন কেউ নিরপেক্ষ থাকতে পারে না।

উত্তরপ্রদেশে বহুজন সমাজ পার্টির প্রধান মায়াবতী বলেছেন, তাঁর দল শান্তিপূর্ণ ভারত বনধ সমর্থন করবে। তাঁর কথায়, “আমাদের দেশের কৃষকরা তিনটি কৃষি আইন মেনে নেননি। তাঁরা গত ১০ মাস ধরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগােপাল বলেছেন, ‘কালা কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আমরা কৃষকদের পাশে আছি।’ রবিবার রাকেশ টিকায়েত বলেন, কৃষকরা প্রয়ােজনে ১০ বছর ধরে আন্দোলন করবেন। সরকারকে আমাদের কথা শুনতেই হবে।

‘সংযুক্ত কিক্ষণ মাের্চা’র পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানাে হয়েছে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কেরল, বিহার সহ একাধিক রাজ্যে বন্‌ধে স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা গিয়েছে। এছাড়া রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, তেলেঙ্গানাতেও কৃষকদের ডাকা ভারত বন্‌ধে আংশিক সাড়া মিলেছে।