ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও কেরলে করােনায় আক্রান্ত ৪০ হাজার

প্রতীকী ছবি (Photo by SAM PANTHAKY / AFP)

কেরলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যেভাবে অনেকে করােনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাতে এই আশঙ্কাই ছড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে, অন্ততত ৪০ হাজার ‘ব্রেক থ্রু’ কেস ধরা পড়েছে। টিকা নেওয়ার পরেও কোভিড়ে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টিকে বলা হয় ‘ব্রেক থু কেস’।

কেন্দ্রীয় সরকার কেরলকে বলেছে, প্রতিটি ব্রেক থু কেসের যেন জিনােম সিকোয়েন্সিং করা হয়। অর্থাৎ যিনি টিকা নেওয়ার পরেও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে অন্যদের সঙ্গে তুলনা করা হবে।

অনেকের ধারণা, ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টের জন্যই টিকা নেওয়ার পরেও অনেকে কোভিড়ে আক্রান্ত হয়েছেন। বেশির ভাগ ব্রেক থু কেসের সন্ধান মিলেছে পথনমথিট্টা জেলায়। সেখানে ভ্যাকসিনের একটি ডােজ নেওয়ার পরে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯৭৪ জন।


দ্বিতীয় ডােজ নেওয়ার পরে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০৪২ জন। কেরলের কয়েকটি জেলায় দ্বিতীয়বার কোভিড সংক্রমণেরও খ পাওয়া গিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কেরলে দৈনিক ২০ হাজারের কাছাকাছি মানুষ সংক্রমিত হচ্ছেন। মঙ্গলবার সংক্রমণ কিছু কমেছিল। এদিন মােট ১৩ হাজার ৪৯ জন সংক্রমিত হন। মারা যান ১০৫ জন।

বুধবার কেরলে সংক্রমিত হয়েছে ২১ হাজার ১১৯ জন। মারা গিয়েছেন ১৫২ জন। এর মধ্যে কোভিডের ভ্যাকসিন নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা। কয়েক সপ্তাহ আগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ বলেছিল, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন মিশিয়ে মানুষের দেহে প্রয়ােগ করলে আরও ভালাে ফল পাওয়া যাচ্ছে।

এবার একই পরীক্ষা করবে ভেলােরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ। ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়া ইতিমধ্যে ওই পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছে। মঙ্গলবার নীতি আয়ােগের সদস্য ভি কে পাল বলেন, ‘ভ্যাকসিনের ভােজ মেশানাের জন্য ভেলােরের সিএমসি’কে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে একটি জনস্বার্থের মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে প্রশ্ন তােলা হয়েছে, কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সময় কী তথ্য পাওয়া গিয়েছিল? শীর্ষ আদালত ওই মামলার ভিত্তিতে নােটিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।

ভ্যাকসিন নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ভিত্তিতে তা জরুরি পরিস্থিতিতে ভারতে ব্যবহার করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ছাড়পত্র দেওয়ার আগে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে ঠিক কী জানা গিয়েছিল, তা জানার জন্য মামলা করেছিলেন ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রপ অন ইমিউনাইজেশনের প্রাক্তন সদস্য জ্যা পুলিয়েল।