আগ্নেয়গিরির ছাই ট্রপোস্ফিয়ারে আটকে, সন্ধ্যার মধ্যেই চীনের দিকে যাবে

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র।

ইথিওপিয়ার আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের জেরে যে বিপুল পরিমাণ বিষাক্ত ছাই আকাশে ছড়িয়ে পড়েছিল, তা নিয়ে দেশের ভেতরে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তবে ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) তথ্য বলছে, এই ছাইয়ের প্রভাব মূলত আকাশের অনেক উঁচু অংশ অর্থাৎ উপরের ট্রপোস্ফিয়ারেই আটকে রয়েছে। ফলে মাটির কাছে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় এর কোনও তাত্ক্ষণিক ক্ষতি বা প্রভাব পড়েনি।

আইএমডি সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের ফলে ছাই প্রায় ১৪ কিলোমিটার উচ্চতায় উঠে গিয়েছে এবং ভারতীয় আকাশসীমা অতিক্রম করলেও তা ভূমিস্তরে নামার সম্ভাবনা অতি সামান্য। আবহাওয়া দপ্তরের ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানান, ‘আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। ছাই এখনও উপরের স্তরে সীমাবদ্ধ। ফলে নাগরিকদের স্বাস্থ্যের ওপর সরাসরি কোনও প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই।’

আবহাওয়া দপ্তরের ওই শীর্ষকর্তা বলেন, আগ্নেয়গিরির ছাই উচ্চ-আকাশে বহু দূর পর্যন্ত ভেসে যেতে পারে। আবহাওয়ার গতিমুখ ও বায়ু প্রবাহের উপর নির্ভর করে তা ধীরে ধীরে পূর্ব দিকে সরে যায়। আইএমডি জানিয়েছে, আজ সন্ধ্যার মধ্যেই এই ছাই চীনের দিকে অগ্রসর হবে এবং ভারতের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না।


এদিকে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রেও সতর্কতা জারি করা রয়েছে। উপরের আকাশে থাকলেও ছাইয়ের ঘনত্ব বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বিমানপথে উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের ক্ষতি করতে পারে— এই আশঙ্কা থেকেই বেশ কয়েকটি ফ্লাইট রুট সাময়িকভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। তবুও, বিমান সংস্থাগুলির তরফে জানানো হয়েছে যে, আবহাওয়ার তথ্য অনুযায়ী পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

সুতরাং সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। প্রয়োজনীয় সব তথ্য সরকার ও আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে নিয়মিত জানানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, ‘ঘটনাটি বিরল হলেও ভারত এখনও সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থায় রয়েছে।’