মোদীর ‘মহিলা প্রকল্পে’ ঋণের শর্ত? সন্দীপ দীক্ষিতের কটাক্ষে আলোড়ন

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষিত নারী–সহায়ক প্রকল্পকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক ছড়াল। কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দিক্ষিত দাবি তুলেছেন, ‘যিনি আগে থেকে বিভিন্ন ফ্রি সুবিধার বিরুদ্ধে কথা বলতেন, তিনিই এখন সেই পথেই হাঁটছেন। মহিলাদের ১০ হাজার টাকা দিচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু এই প্রকল্পের একটি বড় ফাঁদ পাতা রয়েছে, সে কথা কেউ বলছেন না।’

দীক্ষিতের অভিযোগ, যেসব নারী ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁদের নাকি পরে কর্মসংস্থানের উপায় বের করার নামে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে বাধ্য করা হবে। তাঁর কথায়, ‘শোনা যাচ্ছে যে, যাঁরা ১০ হাজার টাকা পেয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককে নাকি ঋণ নিতে হবে। আর কেউ ঋণ নিতে না চাইলে এই ১০ হাজার টাকা কি ফেরত দিতে হবে? যদি তাই হয়, তাহলে এটা কোনও প্রকল্প নয়, এটা আসলে দান।’

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মানুষকে সাহায্য করবে, নাকি শর্ত চাপিয়ে দেবে— সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। ১০ হাজার টাকা দিয়ে পরে বড় অঙ্কের ঋণের দায় চাপানো হলে সাধারণ মহিলারা আরও বিপদে পড়ে যাবেন। এটা কি নারীর আর্থিক স্বাধীনতা, নাকি আর্থিক বোঝা?’


রাজনৈতিক মহল দীক্ষিতের এই অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যেই তর্ক-বিতর্ক শুরু করেছে। কংগ্রেসের দাবি, মহিলাদের প্রকৃত উন্নয়ন নয়, বরং নির্বাচনী সুবিধা দিতেই সরকার এই প্রকল্প ঘোষণা করেছে। পাল্টা শাসক শিবিরের বক্তব্য, প্রকল্পটি নারীদের আর্থিক ক্ষমতায়ন বাড়াতেই তৈরি করা হয়েছে এবং বিরোধীরা বিনা কারণে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

দীক্ষিত অবশ্য নিজের অবস্থানে অনড়। তাঁর বক্তব্য, ‘প্রকল্প দিলে শর্ত ছাড়া দিন। গোপনে শর্ত চাপাতে গেলে তা মানুষ বুঝে ফেলবে। তাই সরকারের উচিত এ বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া।’