ঝাড়খণ্ডে এনকাউন্টারে নিহত শীর্ষ মাওবাদী নেতা সহদেব সোরেন

ফাইল ছবি

ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহদেব সোরেনের। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। সোমবার সকালে হাজারিবাগ জেলার গিরহোর থানার অন্তর্গত পানাতিতরি জঙ্গলে এই এনকাউন্টার হয়। নিহত হয়েছেন আরও দুই শীর্ষ মাওবাদী নেতা – রঘুনাথ হেমব্রম ও বীরসেন গানঝু।

নিরাপত্তা বাহিনী সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কোবরা ব্যাটালিয়ন, গিরিডি পুলিশ এবং হাজারিবাগ পুলিশ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। গিরিডি-বোকারো সীমান্তের কারান্দি গ্রামে সকাল ৬টা নাগাদ শুরু হয় অপারেশন। উভয় পক্ষের মধ্যে চলতে থাকে গুলি বিনিময়। দীর্ঘ সময় ধরে সংঘর্ষ চলার পর নিরাপত্তা বাহিনী তিন মাওবাদী নেতার মৃতদেহ উদ্ধার করে।

নিহত সহদেব সোরেন পূর্ব ভারতের অন্যতম মোস্ট ওয়ান্টেড মাওবাদী নেতা ছিলেন। মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ছিলেন তিনি। পুলিশের তালিকায় তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। অন্যদিকে, নিহত রঘুনাথ হেমব্রম ওরফে চঞ্চল ছিলেন বিহার-ঝাড়খণ্ড স্পেশ্যাল এরিয়া কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। বীরসেন গানঝু ওরফে রামখেলাওয়ান ছিলেন জোনাল কমিটির সদস্য। তাঁর মাথার দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা।


ঘটনাস্থল থেকে নিরাপত্তা বাহিনী বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র ও নকশা উদ্ধার করেছে। এলাকায় এখনও তল্লাশি অভিযান চলছে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, গোপন আস্তানায় আরও কেউ লুকিয়ে আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই অভিযানকে পূর্বাঞ্চলে মাওবাদী দমন নীতির বড় সাফল্য বলেই মনে করছেন পুলিশ কর্তারা।

প্রসঙ্গত, গত কয়‌েক বছরে দেশের বিভিন্ন অংশেই প্রভাব কমেছে মাওবাদীদের। চাপের মুখে মাওবাদীদের অনেক সদস্যই পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন। অনেক মাওবাদীকে নিকেশও করছে নিরাপত্তা বাহিনী। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ২৪৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।