‘ভোটচুরি’ অপবাদ দেওয়ায় রাহুল গান্ধীর তীব্র নিন্দা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এমনকি কমিশনকে আক্রমণে তাঁর শব্দ প্রয়োগেরও তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। তাঁর মন্তব্যে ‘কুৎসিত শব্দ’ প্রয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে কমিশন। এই মন্তব্যে লক্ষ লক্ষ ভোট কর্মীর আবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেস নেতার এই ধরনের মন্তব্য যথেষ্ট কুৎসিত, মেনে নেওয়া যায় না।’
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকে ‘ভোটচুরি’র অভিযোগ করেছিলেন। তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে ভোটার তালিকা ধরে ভোটচুরির সপক্ষে তাঁর বক্তব্য পেশ করেছিলেন। কংগ্রেস নেতা দাবি করেন, ছয় পদ্ধতিতে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে। এমনকি নাম এবং ঠিকানা তুলে ধরে রাহুল গান্ধী দেখিয়েছিলেন যে, একই ঠিকানায় ৮০জন ভোটারের নাম দেখা গিয়েছে। আবার এমন অনেক ভোটারের ঠিকানা দেখা গিয়েছে, যেখানে আদৌ কোনও জনবসতি নেই। সেটি একটি শিল্প এলাকা এবং সেখানে কারও বসবাসের অস্তিত্ব নেই। পাশাপাশি, ছবি ভুল এবং একই ভোটারের একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকার অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবির সপক্ষে নথিও তুলে ধরেছেন। তাঁর এই অভিযোগের পরেই গোটা ইন্ডিয়া জোটকে একত্রিত করে তিনি নির্বাচন কমিশন অভিযান করেছেন। তিনি আগামী দিনে আরও তথ্যের বিস্ফোরণ ঘটাবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন।
রাহুলের এইসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে বৃহস্পতিবার কমিশন জানিয়েছে, দেশের প্রথম নির্বাচনের সময় থেকেই ‘এক ব্যক্তি, এক ভোট’ বিষয়টি ভারতীয় নির্বাচন আইনে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। কমিশন বলেছে, ‘যদি কারও কাছে কোনও নির্বাচনে কোনও ব্যক্তির দু’বার ভোট দেওয়ার প্রমাণ থাকে, তাহলে হলফনামা দিয়ে সেটা নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত। কিন্তু দেশের সমস্ত ভোটারকে চোর বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না।’