এনুমারেশন ফর্মে এবার ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ করে দিল কমিশন

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) চলাকালীন এনুমারেশন ফর্মে ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুযোগ দিল নির্বাচন কমিশন। বিএলও এবং ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)-দের হাতে এখন এই সংশোধনের ক্ষমতা থাকছে। কমিশন জানিয়েছে, ভোটারদের তথ্য ডিজিটাইজ করার সময় কোথাও কোনও তথ্য ভুলভাবে উঠে গেলে, অতিরিক্ত যে সময় পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যেই সংশোধন করে ফেলতে হবে।

কমিশন সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর-এর কাজ ইতিমধ্যেই অনেকটাই এগিয়েছে। তার পরেও অতিরিক্ত সময় দেওয়ায় এখন যে-কোনও ভ্রম সংশোধনের সুযোগ থাকছে। কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘শুনানিপর্বে যাচাইয়ের সময় ভুল ধরা পড়লে সংশোধনের সুযোগ থাকতই। কিন্তু এখন সব ভুল আগে থেকেই ঠিক করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ আগে এক বার তথ্য আপলোড হয়ে গেলে তা আর বদলানোর সুযোগ ছিল না। এখন ভোটারদের তথ্য ডিজিটাইজেশনের সময় ভুল এন্ট্রি সংশোধনের সুবিধা বিএলও অ্যাপের ‘এডিট’ অপশনের মাধ্যমেও পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, দেশের নানা জায়গা থেকে ভুল এন্ট্রি নিয়ে অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরেই। কোথাও ভোটারের বয়স বদলে গিয়েছে, কোথাও ঠিকানা ভুলভাবে নথিভুক্ত হয়েছে। আবার কোথাও ভুল ছবি আপলোড হওয়ায় বিরক্তি তৈরি হয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। অভিযোগ উঠেছিল, স্থানীয় বিএলএ-দের চাপে পড়ে কখনও কখনও ভুল তথ্য আপলোড করতে বাধ্য হচ্ছেন বিএলও-রা। এই পরিস্থিতিতেই কমিশন সংশোধনের সুযোগ বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।


রবিবার কমিশন জানিয়েছে, এসআইআর-এর যাবতীয় প্রক্রিয়া সাত দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আগে যে সময়সূচি ছিল—
• ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম আপলোড করার সময়
• ৯ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ
• ৭ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ

নতুন সময়সূচি অনুযায়ী—
• এনুমারেশন ফর্ম আপলোডের শেষ দিন ১১ ডিসেম্বর
• ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা তৈরির কাজ
• ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ
• ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগ বা আপত্তি জমা দেওয়ার সময়
• ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযোগ-আপত্তির নিষ্পত্তি, প্রয়োজন হলে শুনানিতে ডাকা
• ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চূড়ান্ত তালিকা যাচাই ও কমিশনের অনুমোদন
• ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ

ভুল ত্রুটি সংশোধনের এই উদ্যোগে একদিকে বিএলও-দের কাজ সহজ হচ্ছে, অন্যদিকে ভোটারদের মধ্যে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তিও অনেকটাই কমবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন।