প্রায় ৩০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় বড়সড় পদক্ষেপ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দেশের ১৭টি স্থানে একযোগে তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত ১১০ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। একইসঙ্গে, উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১২০০টি ক্রেডিট কার্ড ও বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রতারণার মূল কেন্দ্র একটি অবৈধ অনলাইন বেটিং সংস্থা, যার সঙ্গে সাইপ্রাসের একটি সংস্থার সরাসরি যোগ রয়েছে। দিল্লি, মুম্বই, নয়ডা, জয়পুর, সুরাত, মাদুরাই, কানপুর, হায়দরাবাদ সহ দেশের একাধিক শহরে অভিযানে নামে ইডি। মুম্বইয়ের একটি সাইবার থানায় সাইপ্রাসের ওই সংস্থার বিরুদ্ধে প্রথম এফআইআর দায়ের হয়। তার পর থেকেই তদন্তে নেমে এক বছরের মধ্যেই ৩০০ কোটি টাকার প্রতারণার চক্রের হদিস মেলে।
তদন্তকারীদের দাবি, প্রতারণার পদ্ধতি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সাধারণ গ্রাহকদের কাছ থেকে বিনিয়োগের নামে টাকা আদায় করা হত। পরে সেই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে ব্রিটেনের একটি সংস্থার কাছে পাঠিয়ে তা দিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সি কেনা হত। গোটা চক্রটি নিয়ন্ত্রণ করতেন সাইপ্রাস-ভিত্তিক বেটিং সংস্থার এজেন্টরা।
ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া নথি ও ক্রেডিট কার্ডগুলির উৎস ও ব্যবহারের পদ্ধতি বিশ্লেষণ করছে ইডি। তদন্তে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এই বিষয়ে ইডির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে তদন্তে বড়সড় আর্থিক চক্রের জাল ভেদ করার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।