বেআইনি বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে মিমির পর এবার জেরা অঙ্কুশকে

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

বেআইনি বেটিং অ্যাপ কাণ্ডে তদন্তের জাল ক্রমশ গোটাচ্ছে কেন্দ্রের ইডি। একের পর এক তারকাকে তলব করছে আর্থিক বিষয়ক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সোমবার প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়েছিল অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে। মঙ্গলবার হাজিরা দিলেন অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। নির্দিষ্ট সময় সকাল ১১টায় দিল্লির ইডি দপ্তরে পৌঁছে যান তিনি।

তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি, এই বেআইনি বেটিং অ্যাপগুলির প্রচারে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বেশ কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী ও প্রাক্তন ক্রিকেটার। বাংলার ক্ষেত্রে মিমি চক্রবর্তী ও অঙ্কুশ হাজরার নামই প্রথম উঠে আসে। অন্যদিকে, বলিউড থেকে ডাকা হয়েছে অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলাকে।

শুধু অভিনয় জগত নয়, ক্রীড়াজগতের নামও জড়িয়েছে এই কাণ্ডে। ইতিমধ্যেই শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রায়নার কাছ থেকে ইডি জানতে চেয়েছে, কীভাবে অ্যাপের মালিকপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল, কীভাবে টাকা দেওয়া হয়েছিল এবং কর সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলা হয়েছিল কি না। শিখর ধাওয়ানের কাছ থেকেও অনুরূপ তথ্য সংগ্রহ করা হয়। সূত্রের খবর, এবার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিং ও রবিন উথাপ্পাকেও তলব করা হয়েছে।


ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু তারকাদেরই নয়, এই বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি তথ্য জানার জন্য গুগল ও মেটা-র প্রতিনিধিদেরও ডাকা হয়েছিল। জুলাই মাসে গুগলের এক আধিকারিকের জবানবন্দি রেকর্ড হলেও মেটার প্রতিনিধি এখনও হাজিরা দেননি।

ইডির অভিযোগ, বহুবার নিষিদ্ধ হওয়ার পরও নাম পাল্টে ফের বাজারে এসেছে এইসব বেটিং অ্যাপ। সেগুলির প্রচারে নামী তারকাদের ব্যবহার করে গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করা হচ্ছিল। আর তাতেই কোটি কোটি টাকার বেআইনি কারবার চলছিল বলে অভিযোগ।

এমন পরিস্থিতিতে অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে প্রাক্তন ক্রিকেটার— একাধিক নাম উঠে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জনমনে। গোটা ঘটনার তদন্ত আরও গভীরে নামছে ইডি।