উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার কলকাতার বিজয়দুর্গে (ফোর্ট উইলিয়াম) এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করল ইস্টার্ন কম্যান্ড। এই সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত গৌতম বাম্ভাওয়ালে, রিভা গাঙ্গুলি দাস, দিলীপ সিন্হা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এম জয়দেব রানাডে। বক্তারা চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সম্ভাব্য মিলিত কৌশল এবং উত্তর-পূর্বের পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
চিন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান ভারতকে এক ভীতির মধ্যে রাখতে চাইছে বলেই মত অনেক বিশেষজ্ঞের। এ বিষয়ে ইস্টার্ন কম্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি ও কৌশলগত তৎপরতা আরও জোরদার করাই এই সেমিনারের মূল উদ্দেশ্য।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাম চন্দ্র তিওয়ারি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌম রক্ষায় ইস্টার্ন কম্যান্ড সর্বদা প্রস্তুত। ভবিষ্যতের যে কোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় আমরা তৈরি।’ প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত গৌতম বাম্ভাওয়ালে বলেন, ‘চিনের নীতির পরিবর্তন দ্রুত হচ্ছে। তাই ভারতেরও কৌশলগত চিন্তাভাবনা আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে।’ রিভা গাঙ্গুলি দাস জানান, ‘উত্তর-পূর্ব শুধু ভৌগোলিকভাবে নয়, কূটনৈতিক দিক থেকেও ভারতের নিরাপত্তার মূল চাবিকাঠি। এই অঞ্চলে উন্নয়ন ও সংযোগ বাড়ানোই সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরক্ষা কৌশল।’
এই আলোচনায় বারবার উঠে এসেছে একটাই বার্তা— পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রস্তুত ভারতই নিরাপদ ভারত। বিজয়দুর্গের এই বুদ্ধিবৃত্তিক সভায় সেই প্রস্তুতির স্পষ্ট সুর যেন প্রতিধ্বনিত হল— সতর্ক, সজাগ, এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এক ভারতের প্রতিচ্ছবি হিসেবে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সেমিনারের মাধ্যমে ইস্টার্ন কম্যান্ডের লক্ষ্য দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে কৌশলগত প্রস্তুতি আরও মজবুত করা।