গুজরাটের পোরবন্দর থেকে উদ্ধার ২২ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের মাদক, গ্রেফতার ৫ পাকিস্তানের নাগরিক

গান্ধিনগর, ২৮ ফেব্রুয়ারি –  গুজরাটের পোরবন্দরের কাছের একটি জাহাজে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে তিন হাজার কেজি মাদক দ্রব্য।  ভারতীয় নৌবাহিনী এবং নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো মঙ্গলবার যৌথ অভিযান চালিয়ে ওই জাহাজটিকে আটক করে। জাহাজের ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ মাদক, যার আনুমানিক মূল্য ২২ হাজার কোটি টাকা।  মাদক পাচারের অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা সকলে পাকিস্তানের নাগরিক বলে ভারতীয় নৌসেনা সূত্রে জানা গেছে । কী উদ্দেশ্যে এবং কোথায় ওই মাদক পাচার করা হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ওই জাহাজটি থেকে ৩০৮৯ কেজিরও বেশি পরিমাণের চরস, ১৫৮ কেজি মেথামফেটামাইন এবং ২৫ কেজি মরফিন উদ্ধার হয়েছে। সরকারি আধিকারিকেরা বাজেয়াপ্ত করা মাদকের মোট মূল্য নির্দিষ্ট করতে না পারলেও, এক সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে এক কেজি চরসের দাম ৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, ওই জাহাজ থেকে শুধু চরসই উদ্ধার হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার।গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়া যায় বিপুল পরিমাণ মাদকের বিরাট অঙ্কের লেনদেন হতে পারে পোরবন্দরে। সেই মতো নজর রাখা হয়েছিল  জাহাজঘাটায়। এর পরেই সন্দেহজনক জাহাজের দেখা মেলে। তল্লাশি চালাতেই প্রকাশ্যে আসে মাদকের ভাণ্ডার।

গুজরাতের ‘অ্যান্টি-টেররিস্ট স্কোয়াড -এর এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমারেখার কাছে আরব সাগরে এই অভিযান চালানো হয়েছিল। ভারতীয় সেনার নজরদারি একটি বিমান পোরবন্দরের কাছে ওই পালতোলা জাহাজটি দেখতে পায়। সেই জাহাজের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হওয়ায় যৌথ অভিযান নামে নৌসেনা এবং এনসিবি। নারকোটিক ব্যুরোর তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, জাহাজটি পাকিস্তান থেকে এসেছিল। তাঁরা আরও জানান,  গুজরাট উপকূলে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মাদক উদ্ধারের ঘটনা এটিই। গ্রেপ্তার করা পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 


উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চে ইরান থেকে আসা একটি জাহাজকে আটক করেছিল ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। ওই জাহাজ থেকে ৪২৫ কোটির মাদক উদ্ধার হয়েছিল।