গাজিয়াবাদে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী ক্যানসার আক্রান্ত ব্যবসায়ী

প্রতীকী ছবি

গাজিয়াবাদে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী  হলেন ৬১ বছর বয়সের এক ব্যবসায়ী। একটি নোটে তিনি লিখেছেন, তিনি ক্যানসার আক্রান্ত, তাই তিনি চান না তাঁর চিকিৎসার পিছনে অযথা টাকা নষ্ট হোক। তাই স্ত্রীকে খুন করে আত্মহননের পথে বেছে নিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, সুইসাইড নোটে কুলদীপ ত্যাগী লিখেছেন, ‘আমি ক্যানসারে ভুগছি, আমারা পরিবার সেটা জানে না। আমি চাই না আমার চিকিৎসায় টাকা নষ্ট হোক, কারণ বাঁচব কিনা জানি না। আমি আমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছি, কারণ আমরা চিরকাল একসঙ্গে থাকার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম। এটি আমার একান্তভাবে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কেউ, বিশেষ করে আমার সন্তানরা এতে দোষী নয়।’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি যে ক্যানসারে ভুগছিলেন সে কথা পরিবারের কেউই জানতেন না। তাঁর এই অসুস্থতার কথা জানতে পারলে স্ত্রী এবং দুই ছেলে উদ্বিগ্ন থাকবে, তাই কাউকে কোনও দিন জানাননি। নিজেই গোপনে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসার বিপুল পরিমাণ খরচ তিনি আর টানতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নেন উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের প্রোমোটার কুলদীপ ত্যাগী। স্ত্রী অংশু ত্যাগীকে খুন করার পর আত্মঘাতী হন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পিস্তল থেকে মাথায় গুলি করেন কুলদীপ। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। কুলদীপের দুই ছেলে সেই সময় বাড়ির একতলায় ছিলেন। গুলির আওয়াজ শুনে তাঁরা ছুটে যান। গিয়ে দেখেন রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারিদিক। তারই মাঝে পড়ে রয়েছেন বাবা-মা। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাঁদের বাঁচানো যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, কুলদীপ প্রথমে স্ত্রীকে গুলি করেন। তার পর গুলি চালান নিজের মাথায়। পুলিশ আধিকারিক পুনম মিশ্র জানিয়েছেন, কুলদীপের ঘর থেকে একটি পিস্তল এবং সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তবে আসল ঘটনা জানতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।


ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ গ্রামীণ, রাজেশ কুমার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, কুলদীপের সুইসাইড নোট অনুযায়ী ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায়  হওয়ায় বিপুল খরচের বোঝা পরিবারের উপর চাপিয়ে দিতে চাননি ওই ব্যক্তি। তাই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হন।