৩৫এ ধারা নিয়ে সােশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো গুজবে কান দেবেন না : রাজ্যপাল

কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্য পাল মালিক (File Photo)

সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অর্ডারগুলি বৈধ নয় বলে মন্তব্য করে জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেন, ‘লালচকে যদি কেউ হাঁচি দেয়, সেটা কিছুক্ষণের মধ্যে রাজভবনে পৌঁছবে এই হিসেবে যে লালচকে বােমা ফেটেছে। আপনারা ওই সব গুজবে কান দেবেন না’।

উপত্যকায় অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী মােতায়েন করা নিয়ে এই মুহুর্তে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ভীতির উদ্রেক হয়েছে। কারণ তারা আশঙ্কা করছেন জম্মু ও কাশ্মীরে অতিরিক্ত বাহিনী মােতায়েন করে মােদি প্রশাসন সংবিধানের ৩৫এ ধারাটি বাতিল করে দেওয়ার গােপন পরিকল্পনা করছে।

রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক বলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশ্যাল স্ট্যাটাস নিয়ে উপত্যকায় একাধিক গুজব রটেছে, তাতে কান দেওয়ার কোনও প্রয়ােজন নেই। সবকিছু ঠিক আছে, সব কিছু স্বাভাবিক আছে’।


উপত্যকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সােশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক অর্ডার ছড়িয়েছে- ওই গুলির বৈধতা কি তা নিয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, যে অর্ডারগুলাে সােশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে ওই গুলি বৈধ নয়।

রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ন্যাশানাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা সােশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভুয়াে অর্ডারগুলাের সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘রাজ্যপাল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে তুলে ধরেছেন। সিনিয়র সরকারি আধিকারিকদের স্বাক্ষর রয়েছে ওই ভুয়াে অর্ডারগুলােতে। এটা কোনও তুচ্ছ ব্যাপার নয় যে, গুরুত্ব না দিলেও চলবে। কারা এই ভুয়াে অর্ডার তৈরি করছে, সিবিআইয়ের তদন্ত করে দেখা প্রয়ােজন’।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দু’দিনের কাশ্মীর সফর থেকে ফেরার পর উপত্যকায় অতিরিক্ত ১০,০০০ কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী মােতায়েন করার পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শের ভিত্তিতে কেন্দ্র অতিরিক্ত বাহিনী মােতায়েন করতে চলেছে।

যদিও কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, উপত্যকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানাে হবে। সন্ত্রাসদমন কর্মসূচীকে সফল করার লক্ষ্যে ১০,০০০ অতিরিক্ত আধাসামরিক বাহিনীকে জম্মু ও কাশ্মীরে পাঠানাে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় মােতায়েন কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরে দ্রুত পাঠনাের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

জম্মু কাশ্মীরে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি রয়েছে। ৩৫এ নং ধারায় জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভাকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কারা উপত্যকার স্থায়ী বাসিন্দা তা নির্দিষ্ট করে ব্যাখ্যা করতে পারবে।