শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ধ্বংসলীলা ‘দুর্ভাগ্যজনক’

ফাইল চিত্র

ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে মুক্তিযুদ্ধের নায়ক মুজিবুর রহমানের বাড়িতে রাতভর চালানো হয় বেলাগাম তান্ডব। ভাঙচু্র ও অগ্নিসংযোগ ছাড়াও বুলডোজার এনে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দিতে চালানো হয় ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। ঐতিহাসিক এই ভবনকে এভাবে ধূলিসাত করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত। ভারত সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে উদ্ধৃত করে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশ দখল এবং শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক যিনি, সেই শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়ি ধ্বংস হয়েছে ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ তারিখে। এটি দুর্ভাগ্যজনক।’ 

ভারতের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেই স্বাধীনতার সংগ্রাম বাংলাদেশের পরিচিতি ও গর্বকে লালন করেছিল।যাঁরাই সেই লড়াইকে মর্যাদা দেন তারাই জানেন বাংলাদেশের জাতীয় চেতনার ক্ষেত্রে এই বাসভবনটির গুরুত্ব কতটা ছিল!’ বিদেশ মন্ত্রক মনে করে, এই ভাঙচুর এবং তান্ডবলীলার ঘটনা তীব্র নিন্দনীয়।

বিবৃতির মাধ্যমে ভারত সরকারের স্পষ্ট বার্তা, যাঁরা মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামকে মূল্য দেন, তাঁরা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ির ইতিহাস কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা জানেন। যাঁরা বাংলাদেশের পরিচয়ের জন্য গর্ব অনুভব করেন তাঁরা জানেন, বাংলাদেশের জাতীয় আবেগের কাছে এই বাড়ির গুরুত্ব কতটা অপরিসীম।


বুধবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে তান্ডব চালায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকরা। সেদিনই ছিল মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল ভাষণ। সেই খবর প্রকাশ্যে আসতেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত এই ঐতিহাসিক ভবনের উপর চড়াও হয় ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা। রাতভর চলে ভাঙচুর, লুটপাট। বৃহস্পতিবার সকালে বুলডোজার এনে ভেঙে দেওয়া হয় মুজিবুরের বাড়ি। 

এই ঘটনাকে ভারত দুর্ভাগ্যজনক বলে বিবৃতি দেওয়ার পর অশান্তি রুখতে কঠোর পদক্ষেপের কথা জানায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর বৃহস্পতিবার বিবৃতি দিয়েছিল ইউনূস সরকার। রাতে ফের বিবৃতি দিয়ে অশান্তি ঠেকাতে কঠোর পদক্ষেপ করার কথা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘সরকার কঠোর হাতে এই ধরণের ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর মতো কার্যকলাপ প্রতিরোধ করবে। অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা করতে প্রস্তুত।’