লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজধানী দিল্লি। চূড়ান্ত বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনা নদীর জল। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নদীর জলস্তর ছিল ২০৭.৪৭ মিটার। যদিও বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জলস্তর নতুন করে না বাড়লেও রাজধানীর বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। পূর্ব দিল্লির ময়ূর বিহার থেকে শুরু করে সচিবালয়ের সংলগ্ন রাস্তাগুলিও ডুবে গিয়েছে যমুনার জলে।
ত্রাণ শিবিরে ইতিমধ্যেই আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। সরকারি দপ্তরগুলি আপৎকালীন ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হলেও নদীর রুদ্ররূপে এখন রাজধানীর স্বাভাবিক জীবন প্রায় অচল।
পূর্ব দিল্লি ছাড়াও সিভিল লাইন, আইটিও, কাশমেরে গেট— রাজধানীর জনবহুল বহু এলাকায় বুক সমান জল জমেছে। বহু বাড়ি ও বাংলোতে ঢুকে পড়েছে নদীর জল। এমনকী দিল্লির স্বামীনারায়ণ মন্দিরও প্লাবিত। মন্দিরে যাওয়ার জন্য রিং রোডের উপর যে ফুটওভার ব্রিজ তৈরি হয়েছিল, সেটিও জলের তলায় চলে গিয়েছে। সচিবালয়ের কাছাকাছি রাস্তায় দমকল মোতায়েন করে জল বের করার চেষ্টা চলছে।
পরিস্থিতি এতটাই ভয়ঙ্কর যে, বন্ধ রাখতে হয়েছে দিল্লির একাধিক শ্মশান। মৃতের আত্মীয়-পরিজনরা বাধ্য হয়ে শ্মশান সংলগ্ন ফুটপাতে শেষকৃত্য সম্পন্ন করছেন।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে জাতীয় সড়ক ৪৪-এ বিপত্তি ঘটেছে। আলিপুরে একটি উড়ালপুলে বড়সড় ধস নেমে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। সেই গর্তের উপর দিয়ে অটো চালাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক চালক।
রাজধানীতে এখনও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, বৃষ্টি না থামলে দিল্লির পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। তবে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এখনও বেশ কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।