সরকারের গোপন নথি চুরি, চার বছর ধরে জবাবের অপেক্ষায় দিল্লি পুলিশ

দিল্লি পুলিশ

দিল্লি, ১৫ মার্চ- রাফায়েল চুরি সংক্রান্ত নথি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক থেকে চুরি হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অবশ্য সেই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তিনি। ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে বলেছিলেন , ফাইল চুরি গিয়েছে এমন তথ্য এক্লেবারেই ভুল। এরপরে জল গড়ায় অনেক দূর। কেন্দ্রের তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় যে দেশের দুটি সংবাদ মাধ্যম ও উকিলের বিরুদ্ধে অফিশিয়াল সিক্রটস অ্যাক্টের আওতায় ফৌজদারি পদক্ষেপ নেয়া হবে। কারণ তারা আদালতে পেশ করা নথির ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চার বছর আগে সম্পূর্ণ অন্য এক ঘটনায় অফিশিয়াল সিক্রেট আইনের আওতায় পদক্ষেপ নেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল। ২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লির পুলিশ কমিশনার বি এস বসসি বলেছিলেন, কেন্দ্রের পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক থেকে গোপন নথি ফাঁস করা হয়েছে অর্থের বিনিময়ে। তার পর থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রককে ৮খানা চিঠি পাঠিয়ে দিল্লি পুলিশ জানতে চেয়েছে ঠিক কোন ধরণের নথি ছিল সেগুলি। অফিশিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট-র আওতায় তাকে ফেলা যাবে কিনা , সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একাধিকবার বিষয়টি সম্পর্কে মনে করিয়েছে দিল্লি পুলিশ। ডিসিপি (ক্রাইম) রাজেশ দেও জানিয়েছেন , আমরা বারবার মন্ত্রককে বিষয়টি সম্পর্কে মনে করানোর চেষ্টা করেছি । এখনো পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনো উত্তর আসেনি। পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক যদিও অন্যরকম কথা বলছে। তারা জনিয়েছে, দিল্লি পুলিশের চিঠি পেয়েই আমরা জবাব দিয়েছিলাম। আমাদের জবাবের পরিপ্রেক্ষিতে ওদের কিছু প্রশ্ন ছিল। খুব শীঘ্রই সেগুলির উত্তর দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রকের মুখপাত্র যোগেশ কুমার। নীরজ কুমার গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলেন সরকারি নথি চুরিতে সরকারের ভেতরকার দুই ব্যক্তি জড়িত ছিলেন। পেট্রোলিয়াম ও গ্যাস মন্ত্রকের কার্যালয় শাস্ত্রী ভবনে বেআইনি প্রবেশ করে নথি চুরি করা হয়েছিল। এরপর ই প্রতারণা , জালিয়াতি , অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি এফ আই আর দায়ের করা হয়।

অপরাধ বিভাগের আন্তঃ জেলা শাখা সব মিলিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল। সেই ১৩জন কে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সবাই। পুলিশের বক্তব্য , অভিযুক্তদের হাত অনেক লম্বা। সরকারের গোপন নথি চুরি করার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অন্ততপক্ষে দুজনের কাছে মন্ত্রকের অফিসের ডুপ্লিকেট চাবি ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।