নেপালে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতা ঘনীভূত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। ভেঙে দেওয়া হয়েছে সরকার। আপাতত সেনার হাতে শাসনভার। চারিদিকে অশান্তি আর জনরোষে জ্বলছে নেপাল। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী ভারতের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নেপালের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
জানা গিয়েছে, গত কয়েক দিনে নেপালের জেল ভেঙে পালানো একাধিক অপরাধী ভারতে ঢুকে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তর প্রদেশ— বিভিন্ন রাজ্য থেকে ইতিমধ্যেই ৩৫ জন অনুপ্রবেশকারীকে হাতে নাতে ধরেছে সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি)। ঘটনায় কড়া নজর দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এসএসবি’র কাছে সীমান্ত পরিস্থিতির বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কোথাও পাহারায় ফাঁক থাকছে কি না, তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, সীমান্তে আরও বাড়তি বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) জওয়ানদেরও কাজে লাগানো হতে পারে, যদিও আপাতত পরিস্থিতি সেই পর্যায়ে পৌঁছয়নি।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে নেপালের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ১,৭৫১ কিলোমিটার। এর মধ্যে উত্তর প্রদেশের সঙ্গে ৬৫১ কিলোমিটার, বিহারের সঙ্গে ৭২৬ কিলোমিটার, উত্তরাখণ্ডে ১৭৩ কিলোমিটার, পশ্চিমবঙ্গে ৯৬ কিলোমিটার এবং সিকিমে ৯৯ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এই গোটা অংশের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে এসএসবি।
তবে দীর্ঘ বেড়াহীন সীমান্ত নেপালের অশান্ত সময়ে উদ্বেগ আরও বাড়াচ্ছে। জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে, সে বিষয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসএসবি’কে। আর সেই কারণেই সীমান্ত পরিস্থিতির পূর্ণাঙ্গ তথ্য জানতে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।