চিন থেকে আমদানি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট বাতিল করার সিদ্ধান্ত

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

চিন থেকে আমদানি করা করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে। এমনকী প্রাথমিকভাবে চিনের দু’টি সংস্থা যে পাঁচ লাক কিট পাঠিয়েছিল তার জন্য পয়সাও দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে সরকার। চিনের দুই সংস্থা গোয়ানঝাউ ওন্ডিফো বায়োটেক এবং ঝুহাই লিভজন ডায়গনোস্টিকস এই কিট পাঠায়।

তাদের পাঠানো কিটগুলি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) ব্যবহারের পর ত্রুটিপূর্ণ বলে জানায়। এমনকী রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ সহ একাকি রাজ্য কিট ব্যবহার করে জানায় তা মাত্র ৫৪ শতাংশ প্রীক্ষার ফলাফল জানাতে সক্ষম, সম্পূর্ণ নয়। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকার দেশের হটস্পট এলাকাগুলিতে প্রথমে দুই দিনের জন্য পরে সম্পূর্ণ পরীক্ষার জন্য ওই কিট ব্যবহার না করার নির্দেশ পাঠায়।

সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, চলতি মাসের প্রথম দিকে সরকার পাঁচ লাখ অ্যান্টিবডি টেস্টকিট ও আরএনএ এক্সট্রাকশন কিট চিনের দুই সংস্থার কাছ সংগ্রহ করে। কিটগুলি দেশের করোনা সংক্রামিত এলাকায় পাঠানো হয়।


কিন্তু কিটগুলি ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় তা থেকে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল না। ফলে সেগুলি ব্যবহার না করে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এজন্য সরকার কোনও অর্থ আগাম দেয়নি। ফলে সরকারকে আর্থিক দিক থেকে কোনও খেসারত গুণতে হয়নি।

প্রাথমিকভাবে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করার কথা হয়েছিল ফাস্ট-ট্র্যাক কিটের মাধ্যমে গবেষণাগারগুলিতে। ফাস্ট-ট্রাক কিটের পরীক্ষার ফল পেতে বিলম্ব হয়। এছাড়া দেশের অধিকাংশ রাজ্যে সংশ্লিষ্ট ভাইরাস পরীক্ষার উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই। এরপরই রাজ্যগুলির উদ্বেগের কথা চিন্তা করে প্রচলিত পরীক্ষা পদ্ধতির থেকে কম নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিবডি টেস্টকিক আনার সুপারিশ করে আইসিএমআর।

চিন থেকে অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তা উপযুক্ত ফল প্রকাশে অপারগ ও ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলি বাতিল করা হয়।

কেন্দ্রীয় সরকার এক আমদানিকারক সংস্থা ম্যাট্রিক্স-এর মাধ্যমে প্রতিটি ২৪৫ টাকা মূল্যের বিনিময়ে চিন থেকে আমদানি করে। কিন্তু ভারতে বন্টনকারী সংস্থা রিয়েল মেটাবলিকস এবং আর্ক ফার্মাসিউটিক্যালস ৬০ শতাংশ বর্ধিত মুল্যে তা ভারত সরকারকে বিক্রি করে প্রতিটি ৬০০ টাকা করে।

কিন্তু ভারত সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, টেন্ডারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। দুই ধরনের মূল্য সম্বলিত টেন্ডার জমা পড়েছিল। তার মধ্যে নিম্ন মূল্য ৬০০ টাকাতেই কিট সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।