তেলেঙ্গানার রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃত বেড়ে ৩৬

তেলেঙ্গানার রাসায়নিক কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ল। সঙ্গারেড্ডী জেলার পাশামাইলরম শিল্পতালুকের ওই রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৬ জন শ্রমিক। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। সোমবার সকালে ঘটে যাওয়া এই বিস্ফোরণ ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে কারখানার ছাদ সম্পূর্ণভাবে উড়ে যায় এবং বহু শ্রমিকের দেহ ১০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়ে যায় বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী দামোদর রাজানরসিংহ।

মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডী। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে নিহতদের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা এবং আহতদের পরিবারকে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসন ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও।

স্থানীয়দের বয়ান অনুযায়ী, সোমবার সকালে আচমকাই কারখানার দিক থেকে একটি প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় কারখানার ছাদ ভেঙে পড়ে এবং চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে কালো ধোঁয়া। দমকল বাহিনী আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর উদ্ধারকাজ শুরু করে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।


জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিস্ফোরণের সময় কারখানায় প্রায় ৯০ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণেই এই বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও চূড়ান্ত তদন্তের আগে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

এদিকে, এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল জিষ্ণু দেববর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডী। ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি তুলেছে বিরোধী ভারত রাষ্ট্র সমিতি। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্তে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিস্ফোরণ শুধুমাত্র বহু প্রাণ কেড়ে নিয়েছে তা-ই নয়, তুলে দিয়েছে শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন।