কেন্দ্রীয় ‘পিএমশ্রী’ অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত ঘিরে কেরলের সিপিএম সরকারের মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এলডিএফের অন্যতম শরিক সিপিআই এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ। ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভার বৈঠক বয়কট করেছেন চারজন সদস্য। তাঁরা সকলেই সিপিআই-এর বিধায়ক ও রাজ্যের মন্ত্রী। সূত্রের খবর, তাঁরা সরকার থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, কেরলের বাম সরকার আগেই স্পষ্ট ঘোষণা করেছিল, মোদী সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি রাজ্যে কার্যকর করা হবে না। কিন্তু কেন্দ্রের ‘পিএমশ্রী’ প্রকল্পের জন্য অনুদান গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে মৌ চুক্তি স্বাক্ষরের শর্ত চলে আসছে, যা সিপিআইয়ের মতে জাতীয় শিক্ষানীতির শর্তগুলিই ঘুরপথে গ্রহণ করা হচ্ছে। কেরল সিপিআই মনে করছে, এভাবে ‘পিএমশ্রী’ গ্রহণের অর্থ ঘুরপথে জাতীয় শিক্ষানীতিকে মেনে নেওয়া।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক এম ভি গোবিন্দন জানিয়েছেন, ‘এই টাকা রাজ্যের প্রাপ্য, তাই কেন্দ্র থেকে দ্রুত আদায় করাই আমাদের লক্ষ্য।’ কিন্তু তাতে সিপিআইয়ের ক্ষোভ প্রশমন হচ্ছে না। রাজ্য সম্পাদক বিনয় বিশ্বম জানিয়েছেন, ‘মন্ত্রিসভাকে জানানো ছাড়া এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এত তাড়াহুড়ো কেন?’
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বিদেশে থাকায় সিপিএমের পক্ষে এই সমস্যার সমাধান করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। সূত্রে খবর, বিজয়ন ফিরে আসার পরই সিপিআইয়ের সঙ্গে সিপিএম আলোচনা করবে বলে টিপি রামকৃষ্ণণ জানিয়েছেন।
তবে কেরলে বামেদের মধ্যে এই বিতর্ক যথেষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা সৃষ্টি করেছে, যার জেরে আগামী নির্বাচনের আগে উত্তেজনা আরও বাড়াতে পারে।