নোটবন্দির পরও দুর্নীতির অবসান হল না: প্রিয়াঙ্কা

প্রিয়াঙ্কা গান্ধি (File Photo: IANS)

নোট বন্দির পঞ্চম বার্ষিকীতে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস মোদি প্রশাসনের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় আসার দু’বছরের মাথায় দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে দেশে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিল। বিরোধী দলগুলোর তরফে দেশে পাঁচ বছর আগে নোটবন্দির ঘটনাকে ‘বিপর্যয়’ বলে ব্যাখ্যা করেছে।

কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি টুইট করে লেখেন, “নোট বাতিল যদি সত্যিই সফল কোনও উদ্যোগ হয়ে থাকে, দেশে তাহলে এখনও কেন দুনীর্তির ইতি হয়নি? এখনও কেন কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা হয়নি? অর্থনীতি কেন নগদহীন হয়ে পড়েছে? কেনও এখনও সন্ত্রাসবাদ খতম করা সম্ভব হয়নি? কেন মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি?’।

টিএমসি নেতা ডেরেক ওব্রায়েন নোটবন্দির দিনটিকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে বর্ণণা করে ২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা একাধিক টুইটের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে তিনি কেন্দ্রকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।


প্রধানমন্ত্রী মোদি ৮ নভেম্বর ২০১৬ কয়েক ঘন্টার নোটিশে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিয়েছিলেন। কালো টাকা ও আয়কর ফাঁকি দেওয়ার মতো ইস্যুগুলো সমাধানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদি নোট বাতিলের পদক্ষের গ্রহণ করেছিলেন।

মোদি সরকারের তরফে আশা করা হয়েছিল, দেশ থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হলে ৩ লাখ কোটি টাকার ওপর কালো টাকা ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফেরত আসবে না বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু আরবিআই’র ঘরে ১০৭২০ কোটি ৫০০ টাকার ও ১০০০ টাকার নোটও ফেরত আসেনি।

নোট বাতিলের একুশ মাস পর আরবিআই ৫০০ টাকার ও ১০০০ টাকার নোট ১৫.৩১ লাখ কোটি ফেরত পেয়েছে। বিরোধীদের কঠোর সমালোচনাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়ে দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, — ১৫.৪২ লাখ কোটি টাকার প্রতিটি টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ঘরে ঢুকেছে।

মনে করুন কে বলেছিল ৩ লাখ কোটি টাকাও ফেরত আসবে না, আর এটাই সরকারের জন্য লাভ হবে। আমি সন্দেহ করেছি বিশাল পরিমাণ টাকা নেপাল ও ভুটানে ছিল। সেগুলোর বেশিরভাগ টাকাই খোয়া গেছে বা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।