করোনার আবহই বিজেপি নেতা-কর্মীদের ডিজিটাল হতে শিখিয়েছে: মোদি

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: Twitter | @BJP4India)

লকডাউন পর্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা কেমন কাজকর্ম করছেন তার মূল্যায়ন নিয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । শনিবার বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল্যায়নের সেই বৈঠকে দলের নেতা-কর্মীদের ভূয়সী প্রশংস করেন তিনি। সেই সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় ভবিষ্যতের সাংগঠনিক দিকনির্দেশও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

‘সেবা হি সংগঠন’ এই শিরোনামে এদিন মূল্যায়ন বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রীর কথা, করোনা সংক্রমণের সঙ্কটজনক পরিস্থিতি বিজেপি নেতা-কর্মীদের পারদর্শী করে তুলেছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে। করোনা বিজেপি’র ডিজিটাল এডিশন তৈরি করে দিয়েছে। দিনদয়াল উপাধ্যায়ের জন্মদিনে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর করোনা পরিস্থিতিতে আমজনতার সেবায় বিজেপি’র ভূমিকা নিয়ে একটি ডিজিটাল বুক প্রকাশের কথাও এদিন ঘোষণা করা হয়।

বিজেপি’র নেতাদের উদ্দেশে মোদি বলেন, আপনাদের মাতৃভাষা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে পুরো কাজ বিস্তারিতভাবে তা সংকলিত করতে হবে। কেন্দ্র এবং রাজ্যস্তরে এডিটোরিয়াল বোর্ড তা পরিমার্জন করবে। মানব সভ্যতার ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে কখনও ঘটেনি। পশ্চিমের কোনও দেশ হলেও তো মানুষের শক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যেত।


মণ্ডলস্তরে ডিজিটাল লিফলেট, লকডাউন পর্বে দল কি কি জনসেবার কাজ করেছে, আমজনতার বেঁচে থাকার লড়াই তাদের সেই লেখা চিঠি, গান ও কবিতা থাকবে। সেগুলোকে এক জায়গায় সংকলিত করে জেলা ও রাজ্যস্তরে ডিজিটাল বুক হবে।

দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির নেতা কর্মীরা যেভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে ভূমিকা পালন করছে, তাদেরও প্রশংসা শোনা গিয়েছে মোদির মুখে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, সারা পৃথিবীর মানুষ যখন প্রাণরক্ষায় ব্যস্ত, তখন আপনারা যেভাবে ভয়ের আবহে উপেক্ষা করে প্রাণের ঝুকি নিয়ে গরিব দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা নজিরবিহীন। আপনারা মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছেন। আর মানুষের আশীর্বাদ পাওয়া তো দেবতার আশীর্বাদের সমান। আমি নিজে বারানসীর সাংসদ। সেকারণে সেখানকার বাসিন্দা, রাজ্য সংগঠন এবং রাজ্য সরকারেরও কাজ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। যে কাজ আপনারা করেছে, যেভাবে কর্তব্য পালন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

এখানেই না থেমে মোদির দাবি, সুখী এবং সমৃদ্ধ ভারত গড়ার আদর্শ থেকেই ভারতীয় জনসংঘ এবং তার উত্তরসূরি বিজেপির প্রতিষ্ঠা। আমরা সবসময় ক্ষমতাকে মানুষের সেবার মাধ্যম হিসেবে ভেবেছি। সেকারণে এই আদর্শ থেকে রাজনীতিতে এসেছি। বিজেপির বহু নেতাকর্মী কোভিড ১৯-এ আত্ৰান্ত হয়েছে। মারাও গিয়েছে অনেকে। সংবাদমাধ্যমে তাদের অনেকের নামই আসেনি। কিন্তু ওই পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য। এভাবেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজকর্মকে সম্মানিত করেছে।

এদিন ‘সেবা হি সংগঠন’ এই ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এদিন মোদি অবশ্য অন্যদেরকে নিশানা করে বলেছে, ‘অন্য রাজনৈতিক দলগুলির মতো আমরা ভোটের কথা ভেবে রাজনীতি করি না। মানুষের সেবাকেই আমাদের কাজ মনে করি।

এ প্রসঙ্গে মোদি বিজেপির ৫২ জন দলিত, ৪৩ জন আদিবাসী এবং ১১৩ ওবিসি সাংসদের কথা তুলে ধরেছেন। মোদি বোঝাতে চেয়েছেন, গোটা দেশে বিভিন্ন রাজ্যে পিছিয়ে পড়া জাতি-উপজাতির জনপ্রতিনিধিরাই বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। তাদের হাত ধরেই উন্নয়নের রথকে তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান।